গত এক জানুয়ারি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ২০ বছর বয়সী এক নারীর ভয়ংকর মৃত্যুতে কেঁপে উঠেছে সমগ্র দেশ।
মেয়েটি পেশায় একজন অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক।পহেলা জানুয়ারি কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরার পথে তার স্কুটারটির সাথে একটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। পুলিশ জানায় গাড়ির চালক মেয়েটির শরীরকে গাড়ির সাথে টেনে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ে যায়। ওই সময় গাড়িটিতে চারজন যাত্রীও ছিল। বেশকিছু সিসিটিভি ফুটেজে দেহটিকে টেনে হেচড়ে নিয়ে যেতে যায়।
পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে একজন নারীকে মারুতি ব্যালেনো গাড়ি দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া এবং উত্তর দিল্লিতে একটি রাস্তায় দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। দুটি ফোন পাওয়ার পর পরই গাড়িটির খোজে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।তারা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং গাড়িটি জব্দ করেছে ।
পুলিশ কর্মকর্তা প্রীত হুডা জানায়, গাড়িচালকের বিরুদ্ধে হত্যা এবং অবহেলামূলক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যালোচনা করবে এবং গাড়ীটিকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের একটি টিম পরীক্ষা করবে। কর্মকর্তারা জানান তারা সম্পূর্ণ বিষয়টি বোঝার জন্য একটি ডামি পরীক্ষা করবেন। কারণ অভিযুক্ত দাবি করেন উচ্চস্বরে গান চালানোর জন্য তার কোন চিৎকার শুনতে পাননি ।
নিহতের পরিবারের জানায়: তাকে যৌন নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মা প্রশ্ন করে বলেন, কেন তার মেয়ের দেহ উলঙ্গ ছিল? তাছাড়া দেহের অবস্থা যৌন নির্যাতনকে নির্দেশ করছে বলে টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকায় দাবি করেন নিহতের চাচা।
পুলিশ জানায় মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য সোমবার মাওলানা আজাদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের ওপর ভিত্তি করে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করা হতে পারে।