চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বায়ু দূষণের কারণে হাসপাতালে ২ লক্ষ মানুষ

প্রবল বায়ু দূষণে থাইল্যান্ডে গত সপ্তাহে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত দুই লক্ষ নাগরিক। অসুস্থতার এমন আশঙ্কাজনক হার দেখে কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন।

প্রতিবেদনে প্রকাশ, ২০২৩ সালের শুরু থেকে বায়ু দূষণের কারণে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দেখা গিয়েছে নানা ধরণের অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা। গত এক সপ্তাহে দুই লক্ষ মানুষের অসুস্থ হয়ে পড়া অত্যন্ত গুরুতর বলে দাবি করছেন চিকিৎসকরা।

বুধবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে  শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ঘর থেকে বেরোনোর উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাকিদের বলা হয়েছে, এন-৯৫ মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে না বের হতে।

সপ্তাহের শুরু থেকেই বায়ুর মান খারাপ হতে শুরু করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বুধবার রাজধানীর ৫০টি জেলায় পিএম মাত্রা ছিল ২ দশমিক ৫ যা স্বাভাবিক মাত্রার থেকে অনেক বেশি। বৃহস্পতিবারও বিশেষ উন্নতি হয়নি সেই পরিস্থিতির। দূষণের সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতম কণিকা, যার ব্যাস ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার বা তারও কম। ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার মানে মানুষের একটি চুলের ব্যাসের ৩০ ভাগ কম। বাতাসে এই অতিসূক্ষ্ম দূষণ কণিকার মাত্রা বাড়তে থাকলে শ্বাসগ্রহণের মাধ্যমে তা রক্তে প্রবেশ করে। ফলে শুরু হয় অসুস্থতা।

থাইল্যান্ডের বায়ুদূষণের মূল উৎস তিনটি। প্রথমত, যানবাহনের ধোঁয়া, দ্বিতীয় ও তৃতীয় উৎসে রয়েছে কল-কারখানা ও ফসলের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়া। এর প্রভাব ভালভাবে বোঝা যায় রাজধানী ব্যাংককে। শহরটিতে ১ কোটির বেশি মানুষের বাস করে। এখানে দিনের বেলাতেও ধূসর হলুদ রংয়ের ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। এমন চিত্র দেশটির অন্য শহরেও।

দূষণের প্রকোপে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেছিল কর্তৃপক্ষ।

২০১৯ সালে থাইল্যান্ড সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে দূষণ কমানোর দাবি করেছিল। এর প্রেক্ষিতে তৈরি করা হয় এক বিশেষ নির্দেশিকা। যেখানে স্থানীয় প্রশাসকদের দূষণ মোকাবিলা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।