ঘুর্ণিঝড় মিধিলির কারণে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়ায় কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং ধান ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। নৌকাডুবি ও গাছ চাপা পড়ে মারা গেছে ২ জন। আহত হয়েছে ১২ জন।
এরমধ্যে গাছ চাপায় মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের সদ্গর পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ সাঈদ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাস জানিয়েছেন, বিকালে ঝড়ের সময় তার বাড়িতে বড়ো একটা গাছ উপড়ে পড়লে বাড়ির একটি অংশ ধ্বসে পড়ে। এতে যুবক গুরুতর আহত হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাঈদ মারা যায়। অপর দিকে গতকাল সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চৌফলদন্ডি এলাকায় সাগর থেকে ফেরার সময় একটি মাছ ধরার ইঞ্জিন নৌকা মহেশখালী চ্যানেলে ডুবে গেলে আমির হোসেন কামাল নামে এক জেলে মারা যায়।
ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে গভীর সাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়া ৩২ জন মাঝিমাল্লাসহ দুটি ফিশিং ট্রলার শনিবার দুপুরে কোস্ট গার্ডের একটি জাহাজ উদ্ধার করেছে। দুটি ট্রলারই কক্সবাজারের বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাস।
কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কবির হোসেন জানিয়েছেন, ঘুর্ণিঝড় মিধিলির কারণে ঝড়ের আঘাতে মহেশখালীতে ২০ হেক্টর পানের বরজ, ১৪৫ হেক্টর আমন ধান ১৮০ হেক্টর শীতকালীন আগাম শাকসবজি ১১ হেক্টর সরিষা ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার থেকে টেকনাফ সেন্টমার্টিন্স নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল ১০ টার দিকে কেয়ারি সিন্দাবাদ নামে একটি জাহাজ সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের উদ্দেশে টেকনাফ ছেড়ে যায়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন গত দুদিন ধরে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে অবস্থান করা পর্যটকদের এই জাহাজে করে আজ বিকেলে টেকনাফে নিয়ে আসা হবে। সাগরে প্রথমে নিম্নচাপ পরে ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ায় গত দুদিন সেন্টমার্টিন্স নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে ভ্রমণে গিয়ে দুই শতাধিক পর্যটক আটকে ছিল।
ইউএনও জানান আগামীকাল থেকে টেকনাফ সেন্টমার্টিন্স নৌপথে অপরাপর পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করবে।