কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শিয়ালের কামড়ে ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সোয়েব মোল্লা নামের একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকার মহাখালী আইসিডিডিআরবিতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিয়ালের কামড়ে আহত হয়ে তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতরা হলেন, পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকার কাজী আল আমিন (৪০), শুভ (২২), আলম (২০), সোয়েব মোল্লা (৫০), তমাল খা (২৪), অনিক মোল্লা (২৬), পুলতাকান্দা এলাকার সোলেয়মান (৩৬), ভৈরবপুর গ্রামের আরমান (২৬), উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের রবিন মিয়া (১৯) মধ্যচর গ্রামের সোহেলা বেগম (৩০), রুবেল (২৮), ফরিদ মিয়া (৪৩), জামালপুর গ্রামের মোশারফ (৩৫) ও পার্শ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলার তানভীর (২৬)।
শিয়ালের কামড়ে আহত অনিক মোল্লা বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার ভেজা কাপড় শুকাতে অন্য বাসায় যেতে গেট খুললে হঠাৎ একটি শিয়াল দৌড়ে এসে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন আমি আমার সঙ্গে থাকা বালতি দিয়ে শিয়ালটিকে আঘাত করে সরিয়ে দেই। কিন্ত পরবর্তীতে শিয়ালটি আবারও দৌড়ে এসে আমার হাত ও পায়ে কামড় দেয়। পরে আমি দৌড়ে প্রাণে রক্ষা পাই।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী মোজাম্মেল হক বলেন, শিয়ালের কামড়ের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে কেউ বাসা থেকে বের হতে চাইছে না। রাতে আমার ঘরের সামনে যখন শিয়াল কামড় দিতে আসে তখন আমি লাঠি-বল্লম নিয়ে তাড়া করি। পরে এলাকাবাসী মিলে পাগলা শিয়ালটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন সৌরভ জানান, শিয়ালের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা ও পৌর শহরের ১৪ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মহাখালীর আইসিডিডিআরবিতে পাঠানো হয়েছে। আহতদের ইমুনিগ্লুভিন টিকা দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত শিয়ালটি রেবিস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। যারা আক্রান্ত তারা দ্রুত ভ্যাকসিন নিলে আর ক্ষতি হবে না। তবে সঠিক চিকিৎসা না পেলে রোগী মৃত্যু হওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে।