১৯৭৫ সালে সংঘটিত ৭ নভেম্বরের ঘটনায় প্রধানত বীর উত্তম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ এবং বীর উত্তম কর্নেল আবু তাহেরের নাম আলোচনায় উঠে আসে। ১৫ আগস্ট পরবর্তী ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর ঘটনায় মূল কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন এ দুজন। ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বরের ঘটনা এবং ক্ষমতার লড়াইকে ঘিরেই মুক্তিযুদ্ধের এই দুই অনন্য অদম্য সাহসী সেক্টর কমান্ডার নিহত হন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ নিহত হন ৭ নভেম্বর সিপাহী বিদ্রোহীর দিনে ভোর বেলায়। অন্যদিকে ৭ নভেম্বরের ঘটনার জের ধরে ৭৬ সালের ২১ জুলাই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয় কর্নেল আবু তাহেরকে। জেনারেল জিয়ার নকশা অনুযায়ী সামরিক ট্রাইব্যুনালে গোপন বিচারের মধ্য দিয়ে তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। ২১ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বাধীন বাংলাদেশে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসিতে ঝোলানোর চরম ধৃৃষ্ঠতাও ছিল এই ঘটনা। অবশ্য ’৭৫ এর ৭ নভেম্বর বীরউত্তম কর্নেল আবু তাহেরই জেনারেল জিয়ার নতুন জীবন দান করেছিলেন।
৭ নভেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করা হয় তাহের কর্তৃক সংঘটিত সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের সময়কে। যদিও এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য আজও পরিপূর্ণভাবে উন্মোচিত হয়নি। কোন পক্ষের অফিসার এবং সিপাহীরা এই ঘটনাটি কার নির্দেশে ঘটিয়েছিল তা আজও রহস্যাবৃত। খালেদ মোশাররফের সাথে যারা সরাসরি ৩ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের অন্যতম একজন কর্নেল শাফায়াত জামিলও জীবদ্দশায় বিষয়টি স্পষ্ট করে যাননি। কেননা ৭ নভেম্বর তাহেরের অনুগত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সিপাহীদের বাইরে আরও কিছু সিপাহী রাস্তায় নেমে এসেছিল। তারা কার নির্দেশে এসেছিল তা এখনও অজানা।
বীর উত্তম খালেদ এবং বীর উত্তম তাহের-প্রতিভাধর, চৌকষ, দক্ষ এই দুই সেনা অফিসারই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আলাদা আলাদাভাবে সেক্টর ২ এবং সেক্টর ১১ এর সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শুধু দায়িত্ব পালনই নয় এই দুই সেনা কমান্ডার পাকসেনাদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে নিজ নিজ সেক্টরে যুদ্ধকৌশলেও পাকসেনাদের পরাস্ত করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয় দুজনই সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পাকসেনাদের গোলার আঘাতে মারাত্বকভাবে আহত হয়েছিলেন।
খালেদ মোশাররফ এবং আবু তাহের এই দুই সেনাপতির বিয়োগান্তক, মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে বিশ্লেষণ, অনুসন্ধানের শেষ নেই। ক্ষমতার লড়াই-এ খালেদ মোশাররফ এবং আবু তাহের- এ দুজনের কী ভুল ছিল যে সেই ভুলের খেসারত দিতে গিয়ে তাঁদের মৃত্যুকেই বরণ করে নিতে হলো-এ প্রশ্নও উঠে আসে বারবার।
প্রথমেই আসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফের কথায়। খালেদ মোশাররফ এবং তার অনুগত অফিসারদের সম্পর্কে এখনও আওয়ামী মহলে এমন একটি বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতেই তারা পাল্টা অভ্যুত্থান হেনেছিলেন। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ততই সেই বিশ্বাস ভেঙে পড়ছে। সবারই মনে থাকার কথা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী শেখ ফজলুল করীম সেলিম একাধিকবার সংসদে এবং সংসদের বাইরে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যায় অন্যদের সাথে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফও দায়ী।
১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ’৭৫ এর ২ নভেম্বর মধ্যরাতে কর্নেল শাফায়াত জামিলের ৪৬ ব্রিগেডের তরুণ কিছু অফিসারের পরিচালনায় নতুন করে অভ্যুত্থান ঘটে এবং সেনপ্রধান জিয়াকে বন্দী করা হয়। এই অভ্যুত্থানের প্রথম পর্ব যখন সংঘটিত হয় তখন খালেদ মোশাররফ ঘুমাচ্ছিলেন। জিয়াকে বন্দী করার পর খালেদ মোশাররফকে বিষয়টির খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে খালেদ মোশাররফ অপরাপর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। জিয়াকে সরিয়ে সেনাপ্রধান হওয়ার জন্যে তিনি সর্বাত্বক চাপ তৈরি করেন। এ বিষয়ে লে. কর্নেল এম এ হামিদ পিএসসির লেখা ‘তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা’ বইটির ৮৫ পৃষ্ঠায় একটু চোখ রাখা যাক। চতুর্থ প্যারায় লেখক লিখেছেন ‘খালেদ বরাবরই ছিলেন একজন দক্ষ ও প্রতিভাবন অফিসার। কিন্তু ঐ মুহুর্তে তিনি যারপর নাই অদক্ষতার পরিচয় দেন, যার ফলাফল তার পক্ষে মারাত্মক হয়। বারবার প্রশ্ন জাগে, অভ্যুত্থানের নায়ক ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ একটি নাজুক মুহুর্তে তার তুচ্ছ প্রমোশনের জন্যে এভাবে খোন্দকার মোশতাকের পেছনে কেন নতজানু হয়ে ছোটাছুটি করলেন। এরকম অদক্ষতার পরিচয় খালেদ জীবনে আর কোনোদিন তার কর্মক্ষেত্রে দেখাননি। একজন ক্ষমতাধর সেনানায়ককে কিভাবে প্রমোশন নিতে হয়, ঐদিনই কিছুক্ষণ পর কর্নেল শাফাত জামিল বঙ্গভবনে প্রবেশ করে দেখিয়ে দিলেন।’
বুঝা যায়, কী ভুল করলেন খালেদ মোশাররফ। ৪ নভেম্বর রাতেই নানা নাটকীয় ঘটনার মধ্যে দিয়ে বন্দুকের নলের মুখে খালেদ মোশাররফ মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন এবং সেনাপ্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। কিন্তু এর আগেই জেলখানায় চার জাতীয় নেতার নির্মম মৃত্যু আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তুললেও মোশতাককেই তোষামোদ করতে থাকেন খালেদ মোশাররফ। এখানেই শেষ নয়। খালেদ মোশাররফের সাথে দেনদরবার করে বঙ্গবন্ধু খুনীরা চার্টার বিমানে করে বউ-বাচ্চাসহ ব্যাংককে চলে যান। আবার ৪ তারিখেই ঢাকায় আওয়ামী লীগের একটি মিছিল বের হয়। মিছিলের অগ্রভাগে থাকেন খালেদ মোশাররফের মাতা এবং ছোট ভাই। ৫ তারিখ সকালে বিভিন্ন পত্রিকায় মিছিলের ছবি প্রকাশিত হয়। এসব ঘটনার ফলে দ্রুতই সবকিছু খালেদের বিপক্ষে যেতে থাকে।
মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসির লেখা ‘পঁচাত্তরের রক্তক্ষরণ’ বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে আফসার ব্রাদার্স থেকে। এই বইটির ষষ্ঠ অধ্যায়ে সাতই নভেম্বর সিপাহী বিদ্রোহী অংশের ৮৯ পৃষ্ঠায় ৩ নভেম্বর প্রসঙ্গে লেখক মন্তব্য করছেন এই বলে যে, খালেদ যে কখনই আওয়ামী লীগ সমর্থক ছিলেন না তার বড় প্রমাণ মুক্তিযুদ্ধকালে তার কার্যকলাপ প্রবাসী সরকারের মনোপুত ছিল না। খালেদ নক্সাল পন্থীদের অস্ত্র দিচ্ছিলেন, যা আওয়ামী লীগ বা ভারতের কাম্য ছিল না। ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত মুক্তির পথ গ্রন্থে কর্নেল রশিদ ও কর্নেল ফারুক বলেছেন, এই প্রসঙ্গে আমরা আর একটি সত্য ঘটনা প্রকাশ করার দায়িত্ব তীব্রভাবে অনুভব করছি। অন্যরকম গুজব যাই থাক না কেন এবং ঘটনা প্রবাহের মাধ্যমে সাধারণভাবে যে ধারণাই প্রতিষ্ঠিত হোক না কেন, জেনারেল খালেদ মোশাররফ পূর্বাপর ছিলেন ১৫ আগস্টের বিপ্লবী পদক্ষেপের অন্যতম জোরালো সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক। এই বক্তব্য অগ্রহণযোগ্যই ধরে নিলাম। তবে ফারুকের সাথে খালেদের ঘনিষ্ঠতা ছিল বেশি। আর তাইতো ফারুক আগে থেকেই খালেদকে সেনাপ্রধান করার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছিলেন।
মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি বলেছেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই খালেদের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রশ্নজাগে: তিনি যদি মুজিবপন্থী অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিতেন তাহলে প্রথম সুযোগেই জেল থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের মুক্ত করে সরকার গঠন করতেন। তিনি তা করেননি বরং মুজিব হত্যাকাণ্ডের হোতা মোশতাককে রাষ্ট্রপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত রেখেছিলেন। শুধু এই নয় যেসব মেজরগণ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে খালেদ তাদেরকে নিরাপদে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেন।’ তিনি আরও লিখেছেন খালেদ মোশাররফ জেলে নিহত চার নেতাকে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণেও সমাহিত করতে সম্মতি দেননি। আসলে খালেদ মোশাররফ বিধিবহির্ভূতভাবে সেনাপ্রধান হতে গিয়েই ভেতরে ভেতরে অনেক বিপত্তি ঘটান। সেনাপ্রধানের র্যাংক পরার পর উল্লসিত খালেদ বুঝতে পারেননি তার একটি ভুল কত বড় এক বিপদ ডেকে নিয়ে আসছে।
দিনের পর দিন ক্যান্টনমেন্টে যখন সেনা অফিসাররা ক্ষমতার খেলায় মশগুল তখন বিষয়টি সিপাহীদের মধ্যে আরেক উত্তাপ তৈরি করে। সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়া ১১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে সিপাহীরা সংগঠিত হতে থাকে। ৭ নভেম্বর সেনানিবাসে আরেকটি ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা হয়। ৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে জিরো আওয়ারে কর্নেল আবু তাহেরের নির্দেশে বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সিপাহীরা বিদ্রোহের সূচনা করে। সুবেদার মেজর আনিসুল হকের ইঙ্গিতে টু-ফিল্ড রেজিমেন্টের লাইন থেকে একটি মাত্র ট্রেইসার বুলেটের আগুনের ফুলকি অন্ধকার ভেদ করে আকাশে উঠে। শুরু হয় সিপাহী বিদ্রোহ। কর্নেল তাহেরের অনুগত বিদ্রোহী সিপাহীরা দ্রুতই জিয়াকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে আনেন এবং বিভিন্ন ইউনিট নিয়ন্ত্রণে নেন। মুক্ত জিয়া তাহেরের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করেন। কর্নেল তাহের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন। কিন্তু দ্রুতই আরো কিছু ঘটনা সবকিছু এলোমেলো করে দেয়। শেরেবাংলানগরে অবস্থিত ১০ বেঙ্গলে মর্মান্তিকভাবে নিহত হন খালেদ মোশাররফ। জিয়াকে তাহেরের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্যরা মুক্ত করলেও জিয়া দ্রুতই চোখ পাল্টে ফেলেন এবং ক্যান্টনমেন্ট নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক কৌশল ও শক্তি প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে জিয়াউর রহমান আবির্ভূত হন। ক্ষমতার লড়াই-এ পশ্চাদপসরণ করতে হয় তাহের এবং জাসদকে। এখানেই শেষ নয় কদিন পরেই কর্নেল আবু তাহেরসহ জাসদের প্রায় সব নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। ৭৬ সালের ২১ জুলাই বীরউত্তম তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুুলিয়ে হত্যা করে জিয়াউর রহমান চরম বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় দেন।
৭ নভেম্বর আবু তাহেরে নেতৃত্বে বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার যে সিপাহীরা অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল তারা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়েই সামিল হয়েছিল। কিন্তু কর্নেল আবু তাহেরের মারাত্মক ভুলটি ছিল জিয়াউর রহমানকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করা এবং সিপাহীদের ট্রিগার থামিয়ে রাখা। তবে যে ভুল করা থেকে তিনি বিরত থাকেন তাহলো কুখ্যাত মোশতাকের সাথে কখনই কোনো সন্ধি করেননি। অনেকেই মনে করেন, এখানেই শেষ নয়, ৭ নভেম্বর এবং পরবর্তী সময় দ্রুতই সিআইএ বা অন্যসব বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর হওয়ার কারণেই তাহেরের অভ্যুত্থান ভন্ডুল হয়ে যায়। কারণ হিসেবে তারা আরও বলছেন বিপ্লবী সিপাহীদের নামে নানান গ্রুপ সুকৌশলে নানা ছদ্মাবরণে ‘আল্লাহ আকবর’ জিন্দাবাদ শ্লোগান দিয়ে অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি করে। এই সিপাহীরা একটি বিশেষ গোষ্ঠীর নির্দেশেই কাজ করছিল। এই সিপাহীদের সাথেই আবার মুসলিম লীগ থেকে সাপ্লাই দেওয়া মানুষগুলো টুপি পড়ে রাস্তায় নেমেছিল। ফলে তাহেরের হাতের মুঠো থেকে সবকিছুই দ্রুত ছুটে যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই আরও মনে করেন, জাসদ বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা এবং তাহেরের সমর্থনে ঢাকায় ব্যাপক জনসমাবেশ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় তাহের সফল হতে পারেননি। তাহেরের বড় ভুলটা হয়েছিল বোধ হয় এখানেও-কোনো বহিঃশক্তির সাথে শক্ত সম্পর্ক তৈরি না থাকাটা। সবশেষে বুঝি খালেদ আর তাহেরের ভুলেই অসীম ক্ষমতায় মসনদে আসীন হন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)