চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

৫৭ মাসের ঘটনাপ্রবাহ

কামারুজ্জামানের আটক হওয়া থেকে শুরু করে ফাঁসি পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহ প্রায় ৫ বছরের। সাতান্ন মাস ধরে বিস্তৃত এ প্রক্রিয়া।

২০১০ সালের ১৩ জুলাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হন কামারুজ্জামান। প্রথমে রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় ওই বছরের ২ অক্টোবর।
২০১২ সালের ৪ জুন ট্রাইব্যুনাল-২ তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ২ জুলাই ।

একাত্তরে সোহাগপুর গ্রামে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের দায়ে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ও খালাস চেয়ে ৬ জুন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন কামারুজ্জামান। তবে যেসব অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিলো, কিংবা যেসব অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি; সেগুলোর বিরুদ্ধে আপিল করেনি রাষ্ট্রপক্ষ ।

আপিল বিভাগে ২০১৪ সালের ৫ জুন আপিলের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষ হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। ওই দিন আপিল বিভাগ রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

এরপর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। পরদিন ট্রাইব্যুনাল-২ মৃত্যু পরোয়ানায় সই করে কারাগারে পাঠালে সেখানে বন্দী কামারুজ্জামানকে তা পড়ে শোনানো হয়।

৫ মার্চ ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে আসামিপক্ষ। নানা অজুহাতে শুনানি পেছানোর চেষ্টাও হয়। শেষ পর্যন্ত শুনানি শেষে ৬ এপ্রিল রিভিউ খারিজ করেন আপিল বিভাগ। ৮ এপ্রিল পাওয়া যায় বিচারপতিদের সই করা চূড়ান্ত আদেশের কপি। ১০ এপ্রিল শেষ সুযোগ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষার আবেদন না করার সিদ্ধান্ত নিলে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।