ওবায়েদুল রশিদ : একাত্তরে আলবদর কমান্ডার কামারুজ্জামানের
ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় পর বিধবাপল্লীতে
উল্লাস চলছে। বিধবা
হওয়া সোহাগপুরের শহীদদের স্ত্রীরা আনন্দ প্রকাশ করে
বলছেন, এবার শহীদদের আত্মা
শান্তি পেল।
কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই আলবদর রাজাকার আর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা শেরপুরের সোহাগপুর গ্রামের পুরুষদের হত্যা করে গ্রামকে বিধবা পল্লীতে পরিণত করেছিলো। স্বামী হারানো এসব নারীরা প্রতিনিয়ত সন্তানদের নিয়ে দুর্বিসহ জীবন কাটিয়েছেন। দীর্ঘবছর পর হলেও সেই বিচার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তারা।
রাজাকার কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর শহীদ পরিবারের সন্তানরা বলেন, শহীদের আত্মা আজকে শান্তি পেয়েছে। এবং শহীদের সন্তনরা তাদের বাবার হত্যাকারীর উপযুক্ত বিচার পেল।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান সাক্ষী জালাল উদ্দিন বলেন, সেদিন নিজের বাবাসহ পরিবারের ৭ জনকে নিজের চোখে হারাতে দেখেছি। সেই ঘাতকের ফাঁসি হয়েছে। বিধবাপল্লীর আজ থেকে কলঙ্ক মুক্ত হয়েছে। এতে গ্রামবাসীরা আনন্দিত।
সোহাগপুর গ্রামে গণহত্যা এবং ধর্ষণের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মৃত্যুদণ্ড দিলে তা উচ্চ আদালতে বহাল রেখেএই রায় কার্যকরের পর স্বস্তি পেয়েছে গ্রামাবাসীরা।