বাজারের অর্ধেকের বেশি সিগারেটের প্যাকেটে স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নেই। বাংলাদেশের ৫৪ শতাংশ সিগারেটের প্যাকেটে আইন অনুযায়ী স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জনস্ হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ, বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন (বিসিসিপি) এবং প্রজ্ঞা’র যৌথ আয়োজনে ‘টোবাকো প্যাক সার্ভিলেন্স সিস্টেম (Tobacco Pack Surveillance System): বাংলাদেশের সিগারেটের প্যাকেটে স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ বার্তার উপস্থিতি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের (কো- প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর) অধ্যাপক, ডিজিজ প্রিভেনশন এবং পরিচালক ড. জোয়ানা কোহেন।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে তামাকপণ্যের প্যাকেটে শুধুমাত্র লেখাযুক্ত স্বাস্থ্যসতর্কবাণী বিদ্যমান। তবে আগামী ১৯ মার্চ ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে সকল তামাক পণ্যের মোড়কে ছবিযুক্ত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যেহেতু তামাক বিজ্ঞাপনের প্রচলিত পদ্ধতিগুলো বাংলাদেশসহ অনেক দেশ সীমিত বা নিষিদ্ধ করেছে, সেহেতু তামাক কোম্পানিগুলো নতুন ধূমপায়ী সৃষ্টি করতে এবং বিদ্যমান ধূমপায়ীদের ধরে রাখতে সিগারেট প্যাকেটগুলোকেই বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করে থাকে। এই সতর্কবাণী না থাকলে প্রচার অভিযান দুর্বল হয়ে পড়বে।
আইজিটিসি ধূমপায়ীর সংখ্যা বেশি এমন ১৪টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে (বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চীন, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, রাশিয়া ফেডারেশন, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, ইউক্রেন এবং ভিয়েতনাম) বিভিন্ন সিগারেটের প্যাকেটে সতর্ক বার্তার উপস্থিতি নিয়মতান্ত্রিকভাবে পর্যবেক্ষণ ও নথিভুক্ত করে আসছে যা টোবাকো প্যাক সার্ভিলেন্স সিস্টেম হিসেবে বিশ্বের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকান্ডে বিশেষভাবে পরিচিত।