করোনার ভ্যাকসিন পেতে আগ্রহীরা নাম নিবন্ধনের জন্য আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারের ‘সুরক্ষা’ অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
রোববার মৌসুম পরবর্তী এডিস মশা জরিপ ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এসময় তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ-সিডিসি’র ম্যালেরিয়া নিমূর্ল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ১৮ থেকে ২৮ ডিসেম্বর এই জরিপ চালায়।
এতে দেখা গেছে, ঢাকা সিটি উত্তর ও দক্ষিণের ৯৮টি ওয়ার্ডের একশটি স্থানে মৌসুম পরবর্তী জরিপে কোথাও কোথাও ব্লুটু ইনডেক্স (মশার প্রজনন পরিমাপক) বিশ বা বিশের বেশি পাওয়া যায়নি।
২০১৯ সালে যদিও ঢাকা উত্তরের ৫ স্থানে ও দক্ষিণের ৬টি স্থানে ব্লুটু ইনডেক্স বিশের বেশি ছিল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে পরিচালিত এই জরিপে ১২৪ বাড়িতে এডিশ মশার লার্ভা ও পিউপা পাওয়া যায় আর ২৮৭৬ বাড়িতে কোন এডিস শমার লার্ভা ও পিউপা পাওয়া যায়নি।
এর কারণ হিসেবে ডিসেম্বরের শুষ্ক মৌসুমে বৃষ্টিহীনতা, ইতিমধ্যে মানুষের সচেতনতা, ডেঙ্গুতে মৃত্যুজনিত ভয়াবহতায় জনমানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমের ভূমিকাও রয়েছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন ও নগরীতে চিরুনি অভিযান ও জরিমানাও ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মৌসুম পরবর্তী মশা জরিপে ঢাকার দুই সিটিতে মশার প্রজনন কম পাওয়া গেলেও সতর্ক থাকতে দুই সিটি কপোরেশনকে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ডিসেম্বরে শুকনো মৌসুমে বৃষ্টি নেই। আগামি মার্চ মাসে বৃষ্টি হলে মশার প্রজনন বাড়বে। প্রকৃতিতে থাকা মশার ডিমে পানি পড়লেই মশার বংশ বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।