সংগীতের মাধ্যমে সারা বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন বব মার্লে। চিরবিদ্রোহী এই শিল্পী মাত্র ৪০ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন ১১ মে, ১৯৮১-তে। রেখে গিয়েছেন পরিবার ও সন্তানদের।
বব মার্লের ভক্তদের অনেকেরই জানা নেই তার সম্পর্ক ও সন্তানদের সম্পর্কে। বব মার্লের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ১১ জন সন্তানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ধারণা করা হয় এই সংখ্যা আরও বেশি।
নিজের সন্তান ছাড়াও তিনি দত্তক নিয়েছিলেন স্ত্রীর অন্য সম্পর্কের দুজন সন্তানকে। স্ত্রী ছাড়াও অন্যান্য নারীদের ঘরে জন্ম নিয়েছেন বব মার্লের সন্তানেরা।
আলফারিটা অ্যান্ডারসনকে ১৯৬৬ সালে বিয়ে করেছিলেন বব মার্লে। তার বড় সন্তান শ্যারন জন্ম নেয় ১৯৬৪-এ। শ্যারনকে দত্তক নিয়েছিলেন বব মার্লে।
এরপর রিটা ও বব মার্লের তিন সন্তান হয়: কেডেলা (১৯৭৬), জিগি (১৯৬৮); ও স্টিফেন (১৯৭২)।
১৯৭৪ সালে রিটার গর্ভে জন্ম নেয় স্টেফানি। বব মার্লের মা অবশ্য দাবী করেছেন বব মার্লের মেয়ে না স্টেফানি। রিটার অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, তার মেয়ে। যদিও রিটা ও বব মার্লের সন্তান হিসেবেই বড় হয়েছেন স্টেফানি।
বব মার্লের অন্য ছয় সন্তান রিটার গর্ভে জন্ম নেয়নি। অন্যান্য নারীদের গর্ভে জন্মেছেন তারা। তাদের মধ্যে দুজনের বয়সের ব্যবধান মাত্র তিন দিন।
১৯৭২ সালের ১৬ মে জন্ম নিয়েছেন রবি। তিন দিন পর বব ও জ্যানেট হান্টের ঘরে জন্ম হয় রোহানের।
বব ও জ্যানেট বোয়েনের সম্পর্ক চলাকালে ক্যারেনের জন্ম হয় ১৯৭৩ সালে। ১৯৭৫ সালে লুসি পাউন্ডারের গর্ভে জন্ম নেয় বব এর নবম সন্তান জুলিয়ান। বাবার মতো সংগীতকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন জুলিয়ান।
১৯৭৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আনিতা বেলনাভিসের গর্ভে জন্ম নেয় কাই-মানি। এরপর কিন্ডি ব্রেকস্পেয়ারের গর্ভে ১৯৭৮ সালের জুলাইয়ে জন্ম নেয় বব মার্লের সর্বশেষ সন্তান ড্যামিয়ান।
১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮১-এ মৃত্যু পর্যন্ত কিন্ডির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন বব মার্লে। তবে রিটার সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছিলেন আমৃত্যু।
সন্তানদের এই অফিশিয়াল তালিকা ছাড়াও বব মার্লের আরও সন্তান আছে বলে মনে করা হয়। ভেটে ক্রিচটনের গর্ভে ১৯৮১ সালে জন্ম নেয় মাকেদা। মাকেদার জন্ম হয়েছিল বব মার্লের মৃত্যুর পর। ১৯৯২ সালের দিকে মাকেদা প্রায়ই রিটার ঘরে যেতেন এবং সম্পর্কের কিছু ভাগও পেয়েছিলেন।
এছাড়াও ইমানি নামের আরও একজনকে বব মার্লের সন্তান বলে দাবী করা হয়েছে যার জন্ম হয়েছিল ১৯৬৩ সালে চেরিল মুরের গর্ভে। এক্সপ্রেস