শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৪টি ব্রিগেড ছাড়া সব সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স এর ভিত্তিফলক উন্মোচন করে আলোচনা সভায় পার্বত্য এলাকার ভূমি জটিলতা নিরসনে সম্মিলিত উদ্যোগ নেয়ারও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
পার্বত্য এলাকার মানুষের ঐতিহ্য রক্ষা, সমতলের সঙ্গে সংস্কৃতির আদান-প্রদান আর সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরিতে রাজধানীর বেইলি রোডে দুই একর জমির ওপর প্রায় ১শ’৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স। এখানে থাকবে মাল্টিপারপাস হল, ডরমিটরি, মিউজিয়াম, লাইব্রেরিসহ অত্যাধুনিক সুবিধা।
আলোচনায় শান্তিচুক্তির প্রেক্ষাপট, এর বিরোধিতা, প্রতিকূল পরিবেশ এসবের বিস্তারিত তুলে ধরে চুক্তির সব দাবি পূরণের পাশাপাশি স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী ওই জনপদের উন্নয়নে গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বলেন, শান্তিচুক্তির অধিকাংশ ধারা আমরা বাস্তবায়ন করেছি। ভূমি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে বার বার। কিন্তু কমিশনের কাজ ঠিকঠাক এগোচ্ছে না। আমি সবাইকে বলবো যে দুই পক্ষ একসঙ্গে বসে আলোচনা করে সমাধান আনতে হবে। ২০০১ সালে বসে আমরা একসঙ্গে বসেছিলাম, সেখানে তারা কিছু সংশোধনী চেয়েছে, আমরা সেটা নিয়ে আলোচনা করছি। আমাদের স্বাধীনতা, সংবিধান, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে যতদূর সম্ভব সবই করে দিবো।
কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে এটাই সরকারের লক্ষ্য। মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হবে। সেভাবেই আমরা আমাদের বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। জেলা পরিষদের জন্য তাদের অফিসগুলো উন্নত করা আর কিছু অফিস আমরা এর মধ্যেই তাদের হাতে হস্তান্তর করে দিয়েছি বাকিগুলোও করে দিবো। সেনাক্যাম্পগুলো এরই মধ্যে অনেকটা তুলে নিয়েছি। বাকিগুলোও তুলে নিবো। চার জায়গায় মাত্র চারটি ব্রিগেড থাকবে, বাকিগুলো তুলে নিয়ে আসবো। রামুতে একটি সেনানিবাস করে দিয়েছি। সেভাবেই শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাকিটাও হয়ে যাবে।
আলোচনা সভা শেষে পার্বত্য কৃষ্টি-সংস্কৃতির ওপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়, যা উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।