এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
কিছুটা ভয় ধরালেও বাংলাদেশের সঙ্গে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি জিম্বাবুয়ে। মিরপুরে সিরিজের চতুর্থ টি-টুয়েন্টিতে সিকান্দার রাজার দলকে ৫ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। আইপিএল থেকে ফিরেই ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
টানা চার জয় পাওয়া বাংলাদেশের সামনে হাতছানি এবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের। আগামী রোববার সকাল দশটায় সিরিজের ফল ৫-০ করার মিশনে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ে ২ বল আগে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায়। ১৪ রান ডিফেন্ড করতে বোলিংয়ে এসে শেষ ওভারে ৪ বলে দুটি উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান।
শেষ দুই ওভারে ৩ উইকেট হাতে রেখে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ২১ রান। ৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওই ওভারে বাউন্ডারি লাইনে দারুণ ফিল্ডিংয়ে ৪ রান সেভ করেন টাইগার অধিনায়ক শান্ত।
বাংলাদেশের দেয়া মাঝারি লক্ষ্যে নড়বড়ে শুরুর পর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। রায়ান বার্ল ও জোনাথন ক্যাম্পবেল মিলে জয়ের আশা জাগান। বার্লকে ফিরিয়ে ৩৫ রানের জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। দু্ই বল পর লুক জঙ্গুইয়েকে (১) আউট করেন। বাঁহাতি পেসারের জোড়া শিকারে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।
দারুণ খেলতে থাকা ক্যাম্পবেলকে (৩১) আউট করেন জয়ের পাল্লা ভারী করেন সাকিব। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করে জিম্বাবুয়ে। টেলএন্ডার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ৮ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
৩.৪ ওভারে ৩৫ রানে সাকিব নেন চার উইকেট। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে হন টাইগারদের জয়ের নায়ক।
উদ্বোধনী জুটির শতরানে বিশাল সংগ্রহের আশা জাগলেও অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টুয়েন্টিতে দেড়শ ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। ১১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০০ রান তোলার পর সবার চোখ ছিল দুইশর দিকে। তখনই নাটকীয়তার শুরু। ১০০/০ থেকে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১৪৩/১০।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপত্তির শুরু ওপেনিং জুটি ভাঙার পর। ৩৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে তানজিদ হাসান তামিম ফেরার পর ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি আর কেউ। ৩৪ বলে ৪১ রান করে সৌম্য সরকার ফেরেন লুক জঙ্গুইয়ের ওই ওভারেই।
অফস্পিনার ব্রায়ান ব্যানেট জোড়া শিকারের দেখা পান। সাকিব আল হাসান (১) ও নাজমুল হোসেন শান্তকে (২) বোল্ড করেন। আর কেউই হাল ধরতে পারেননি। ইনিংসের এক বল আগেই ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের শতরানের জুটি ছিল মোটে দুটি। শুক্রবার তানজিদ-সৌম্যর জুটিটি দেশের হয়ে তৃতীয় শতক।
গতবছর চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লিটন দাস ও রনি তালুকদার মিলে গড়েন ১২৪ রানের জুটি। যেটি ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ।
শতকের মুখ দেখার আগেই ভাঙতে পারত ওপেনিং জুটি। দলীয় ৮৭ রানে লং-অফে তানজিদের সহজ ক্যাচ ছাড়েন ফারাজ আকরাম।
মাঝপথে খেই হারানো ব্যাটিং দুর্দশার মাশুল আরেকটু হলেই দিতে হতো বাংলাদেশকে। তবে বোলারদের সাফল্যে সেটি হয়নি। সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিমের দুর্দান্ত দুটি ক্যাচও ম্যাচ জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখা। পাশাপাশি একাধিক ক্যাচও ফসকেছে টাইগার ফিল্ডারদের হাত থেকে।