চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

৩১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের জরুরি সভা

৩১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। চ্যানেল আইকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাতকারে পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, ওইদিনই দলের মধ্যে আনা সকল পরিবর্তন সম্পর্কে প্রেসিডিয়াম সদস্যদের অবহিত করা হবে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের বৈঠকের পরপরই দলীয় প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকলেন এরশাদ।

হঠাৎই জিয়াউদ্দিন বাবলুকে সরিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদারকে আবারও মহাসচিব ও জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করায় প্রকাশ্য হয় জাতীয় পার্টির ভেতরের কোন্দল। ওইদিনই জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল এরশাদের উপস্থিতিতেই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানায় এরশাদকে। অনঢ় থাকেন এরশাদ। পরে এক পর্যায়ে বিবৃতি দিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহবান জানান সংসদীয় দলের সভাপতি ও বিরেধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

তার যুক্তি, প্রেসিডিয়ামকে না জানিয়ে ওই পরিবর্তন দলীয় গঠনতন্ত্রের লংঘন। পাল্টা বিবৃতিতে এরশাদ দাবী করেন, চেয়ারম্যানকে দেয়া ক্ষমতাবলেই তিনি ওই পরিবর্তন এনেছেন এবং তা আর পরিবর্তন হবেনা। এরমধ্যে রওশন বৃহস্পতিবার সংসদে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে। পরে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, তার দল সরকার থেকে বেরিয়ে আসছে না, তবে দলে নতুন নেতৃত্ব আসতেই পারে। এই প্রেক্ষাপটেই জরুরি প্রেসিডিয়াম সভা ডাকলেন এরশাদ।

তিনি বলেন, ৩১ জানুয়ারি রবিবার বেলা ১১ টায় আমাদের প্রেসিডিয়াম সভা করবো। সেই সভাতেই অবহিত করবো আমাদের পরিবর্তনের কথা। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, প্রেসিডিয়ামের কাছে আমাকে কোনো অনুমতি নিতে হবে না, আমি শুধু অবহিত করবো তাদের। বর্ধিত সভা কবে হবে সেটা নিয়েও আলোচনা হবে। তারপরে কাউন্সিল মিটিং কবে হবে সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।

অনেক দিন থেকেই মন্ত্রীত্ব আর সরকারের সঙ্গ ছাড়ার হুমকি দিয়ে আসছেন এরশাদ। কিন্তু তার কথা আর কাজে মিল পাওয়া যায়নি। তবে এবার জাতীয় পার্টিকে সত্যিকারের বিরোধীদলে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আসলে বিরোধীদলের ভূমিকা আমি পালন করতে পারছি না। কারণ আমি সরকারে সম্পৃক্ত আছি এবং আরো তিনজন সরকারে সম্পৃক্ত আছে। যতদিন আমরা বেরিয়ে আসতে না পারবো ততদিন সঠিক বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারবো না। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন, সম্মানিত করেছেন তাই উনার সঙ্গে আলোচনা না করে আমার পদত্যাগ করা ঠিক হবে না।

বিরোধ নয় বরং বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ তার সঙ্গেই থাকবেন বলে আশা করছেন এরশাদ। বলেন, এই পার্টির চেয়্যারম্যান, পার্টির প্রতিষ্ঠাতা আমি। ৩০ বছর ধরে দল পরিচালনা করছি আমার পাশে কেউ ছিলো না। আমি জেলে ছিলাম আমার স্ত্রী কিছু দায়-দায়িত্ব পালন করেছে নিঃসন্দেহে। আমি পার্টির সব দায়-দায়িত্ব বহন করেছি, নির্বাচনের খরচ বহন করেছি। এখন আমার দায়িত্ব পার্টিকে আবার সংগঠিত করা। আগামীতে আরো ভালো জায়গায় যাওয়া।

এরশাদ দাবী করেছেন, তার আনা পরিবর্তনে নতুন জাগরণ এসেছে জাতীয় পার্টিতে। আগামী নির্বাচনে এই জাগরণকেই কাজে লাগাবে জাতীয় পার্টি।