চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

১৭৫ করলেই সিরিজ বাংলাদেশের

ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টুয়েন্টি সিরিজ জিততে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৭৫ রান। তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭৪ রান করেছে স্বাগতিকরা। নাগপুরের উইকেট বিচারে এই রান যেকোনো দলের জন্যেই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং!

চারটি জুটি বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা কঠিন করে তুলেছে। ধাওয়ান-রাহুলের ৩২ রান, রাহুল-শ্রেয়াসের ৫৯, শ্রেয়াস-পান্টের ৪৫ ও পান্ডে-দুবের ৩০ রান। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের একাধিক ক্যাচ মিস ও বাজে ফিল্ডিংও যোগ হয়েছে।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

অথচ শুরুটা কী দারুণই না করেছে বাংলাদেশ। যে রোহিত শর্মা আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে একাই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিলেন। এদিন তিনি দাঁড়াতেই পারেননি। ভারত অধিনায়ককে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ফেরান শফিউল ইসলাম।

তিন ম্যাচে দ্বিতীয়বার রোহিতকে আউট করলেন শফিউল। এর আগে দিল্লির প্রথম টি-টুয়েন্টিতেও ভারত অধিনায়ককে সাজঘরের রাস্তা ধরিয়েছিলেন টাইগার পেসার।

এদিন শফিউলের ভেতরে ঢোকা বল সোজা ব্যাটে খেলার চেষ্টা করেছিলেন রোহিত, বল ব্যাটে না লেগে একটু কোনা ছুঁয়ে তার লেগস্টাম্প উপড়ে দেয়। মাত্র দুই রান করেই ফিরতে হয় তাকে।

রোহিত ফেরার সময় ভারতের খাতায় রান মাত্র ৩। পরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা শেখর ধাওয়ানকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানান সেই শফিউলই। ১৬ বলে ১৯ করেন বাঁহাতি ওপেনার।

শুরুতে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। শুধু চাপে নয়, ধাওয়ান ফেরার দুই বল বাদে একরকম খাদে পড়তে পারত ভারত। কিন্তু সেটা হয়নি বিপ্লবের হাত থেকে ক্যাচ ফসকে যাওয়ায়।

যে ওভারে ধাওয়ান ফেরেন সেই ওভারেই শফিউলের করা পঞ্চম বলে স্কয়ারকাট খেলতে গিয়েছিলেন ক্রিজে নতুন শ্রেয়াস আয়ার। কিন্তু বল ভালো টাইমিং না হওয়ায় সহজ ক্যাচ চলে যায় পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা বিপ্লবের হাতে। একটু লাফিয়ে সে ক্যাচ নিতে গিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে ফেলে দেন বিপ্লব। পরে লোকেশ রাহুলের হাফসেঞ্চুরিতে উল্টো চাপে পড়ে টাইগাররা।

৩৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই ছিল ভারত। সেখান থেকে দলকে চাপমুক্ত করেন এই রাহুল। তার ৩৫ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।

হাফসেঞ্চুরির পরপরই অবশ্য আউট হয়ে যান রাহুল। আল-আমিন হোসেনের বল উড়িয়ে খেলতে গেলে মিস টাইমিং হয়ে ক্যাচ চলে যায় লিটন দাসের হাতে। সহজ ক্যাচ সহজভাবেই নেন লিটন। ৭ চারে নিজের ইনিংস সাজান রাহুল।

বিপ্লব কাচ ছাড়ার পর কিছুটা দেখেশুনে খেলছিলেন শ্রেয়াস। তবে রাহুল ফেরার পর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। শুধু আগ্রাসী নয়, বাংলাদেশের বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনা করেছেন। আফিফ হোসেনের ওভারে তো টানা তিন ছক্কাও মারেন। খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস। মাত্র ৩৩ বলে তিন চার ও পাঁচ ছক্কায় ইনিংস সাজান।

অন্যদের দিনে অবশ্য দলকে আবারও হতাশ করেন রিশভ পান্ট। ৯ বলে ৬ রান করে সৌম্য সরকারের বলে বোল্ট হন নানা সমালোচনার মধ্যে থাকা উইকেটকিপার এ ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশের সঙ্গে লড়াই করার জন্য যতটুকু রসদ দরকার, সেটা যোগাড় করে দেন রাহুল, শ্রেয়াসরা। শেষদিকে তাতে শুধু বাড়তি প্রলেপ দেন মনিশ পান্ডে (২২)।

টাইগারদের হয়ে শফিউল ও সৌম্য দুটি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট নেন আল-আমিন হোসেন।