অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চতুর্থ দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তবে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেননি।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে র্যাবের একটি দল তাকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে হাজির করা করে। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল ইসলাম জানান, ‘সিনহা হত্যার মামলায় আটক বরখাস্ত টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার চার দফায় ১৫ দিন রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে সে মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। ‘
‘‘আমরা সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। মঙ্গলবার ছিল চতুর্থ দফায় ১ দিনের রিমান্ডের শেষ দিন। আমরা তাকে আদালতের কাছে সোপর্দ করেছি। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে।’’
তিনি জানান, মামলার ২ নম্বর আসামি প্রদীপ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেননি।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
তিনি মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন।
খুনের ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামি ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়।
সিনহা হত্যার পর পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব।
এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিনজন এপিবিএন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এলিট ফোর্সটি। একই ঘটনায় টেকনাফ থানায় দুইটি ও রামু থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।
সাক্ষী অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পরে আরেকটি মামলা হয়। মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১৩ জন। এ পর্যন্ত ৫টি মামলা হয়েছে।