সাদমান ইসলাম সাজঘরে ফিরে গেলেন ১৪ করে। আরেক ওপেনার সাইফ হাসান আউটের আগে জমাতে পারলেন ১৪ রান। নাজমুল হোসেন শান্তও ফিরলেন ১৪ করেই। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের শুরুর তিন ব্যাটারে মাঝে এ যেন দুশ্চিন্তা জাগানো এক মিল।
‘১৪’র এই হ্যাটট্রিকেই মিলের শেষ নয়। সাদমান-সাইফের উদ্বোধনী জুটি ছিল ১৯ রানের। তারপর আরও দুটি ‘১৪’ দেখেছে স্বাগতিকরা। সাদমান-শান্তর জুটিতে এসেছে ১৪ রান। পরে শান্ত-মুমিনুলের জুটিও বিচ্ছিন্ন হয় ঠিক ১৪ রানের স্থায়িত্ব দিয়ে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে যেন এক ‘১৪’র দুর্বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ দল। বিমর্ষ সকালে বন্দরনগরীতে প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছে স্বাগতিকরা। ৬৯ রান নিয়ে গেছে লাঞ্চ বিরতিতে।
সকালে প্রথম বলেই সাদমানের ব্যাটের কানায় লেগে ‘সৌভাগ্য’ জমা পড়েছিল উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। ‘সৌভাগ্য’ এজন্য যে আবেদন করেননি পাকিস্তানের কেউ। টিভি রিপ্লে দেখে আক্ষেপ করতে দেখা যায় বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে।
নিজের তৃতীয় ওভারে বাঁহাতি ওপেনার সাদমানকে এলবিডব্লিউ প্রায় করেই ফেলেছিলেন আফ্রিদি। জোরাল আবেদনের পিঠে আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউ নেয়ার চিন্তা থেকে শেষ মুহূর্তে সরে আসেন দলপতি বাবর আজম। আরেকটি ‘সৌভাগ্য’, বেঁচে যান সাদমান।
দুই ‘ভুলের’ পর তৃতীয় চেষ্টায় অবশ্য সফল পেসার শাহিন। ডানহাতি ওপেনার সাইফ হাসানকে ফিরিয়েছেন সাজঘরে। হেলমেট বরাবর বাউন্সার খেলতে গিয়ে গ্লাভস ছুঁয়ে বল চলে যায় শর্ট লেগের ফিল্ডারের হাতে।
অন্যদিকে দুবার আউট থেকে বেঁচেও শেষ রক্ষা হয়নি সাদমানের। সেই ১৪ রানে থাকার সময় হাসান আলির বলে হন এলবিডব্লিউ। শান্ত ফিরেছেন ফাহিমের বলে সাজিদের তালুবন্দি হয়ে।
অধিনায়ক মুমিনুলের পয়া ভেন্যু এদিন তার ব্যাটে পেয়েছে সবে ৬ রান। দলের খুব প্রয়োজনের সময় সাজিদ খানের বলে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দি তিনি।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেন মুমিনুল হক। ২২ গজে নেমে সতীর্থরা যেন খেই হারানো নাবিক-সঙ্গী! খেই হারিয়েছেন তো নাবিক নিজেও।
শেষ খবর, মুশফিকুর রহিম ৫ ও লিটন দাস ১১ রানে আছেন, মধ্যাহ্ন বিরতির পর তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। উইকেটে আসার অপেক্ষায় স্বীকৃত আর মাত্র দুই ব্যাটার, অভিষিক্ত ইয়াসির আলি ও অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজ।