‘যৌন নির্যাতন’ শব্দ দুটি যেন নারীদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে! নারীরা যৌন নির্যাতিত হয় না কোথায়? রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, অফিস থেকে শুরু করে চলন্ত বাস, সব জায়গায়! কিন্তু সেই নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে পারে কয়জন? মুখ ফুটে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ কিংবা নোংরা অভিজ্ঞতার কথা সবার সামনে তুলে ধরতে পারেই বা ক’জন? নির্যাতন করা সেই নরপিশাচদের মুখোশ কি উন্মোচিত হয় কখনো?
হয় না এসবের কিছুই। কারণ প্রতিবাদ করতে গেলে দিনশেষে দোষটা আসে নির্যাতিত হওয়া মেয়েটার উপরেই। সমাজের কাছে ছোট হতে হয় তাকেই। সমাজ কুদৃষ্টিতে তাকায় তার দিকেই। লজ্জা, শঙ্কা, ভয় কিংবা নিজের সম্মানের অনিশ্চয়তায় নিজের নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়ে ওঠে না নারীদের।
কিন্তু সেইসব যৌন নির্যাতিত নারীদের না বলা কথা গুলোই এবার বললেন ‘কলুর বলদ’ খ্যাত পরিচালক সাজ্জাদ সুমন, তার “হ্যাশ ট্যাগ মি টু” টেলিফিল্মের মাধ্যমে। যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করলেন তিনি দেশের আনাচে কানাচে থাকা হাজারো নির্যাতিত নারীকে।
এখানে নির্যাতিত মেয়েটার ভূমিকায় ছিলেন তিশা। তিশার অভিনয় নিয়ে বলার কিছু নেই। দেশের নাট্যজগতে তাকে বলা যায় অলরাউন্ডার অভিনেত্রী। যেকোনো চরিত্রের সাথে মুহূর্তেই মিশে যেতে পারেন তিনি অবলীলায়। ‘হ্যাশ ট্যাগ মি টু’ টেলিফিল্মেও তার অভিনয় ছিল চোখে পড়ার মত। টেলিফিল্মে যৌন নির্যাতন করা শিক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন শহীদুজ্জামান সেলিম। তাঁর অভিনয় দেখে মনে হয়েছে, এই চরিত্রের জন্য তাঁর মত পারফেক্ট চয়েস আর কেউ হতে পারতো না।
টেলিফিল্মে নারীদের যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদের পাশাপাশি মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে সমাজের বিত্তবান কিংবা ক্ষমতাধর এক শ্রেণীর মানুষের। যারা মিডিয়ার সামনে যে অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলে, আড়ালে তাঁরাই জড়িত থাকে সেইসব অপরাধের সঙ্গে! তাঁরাই সবচেয়ে ভয়ানক কীট আমাদের সমাজের।
সব কীটেরা ধ্বংস হোক, সমাজ থেকে সকল ধরণের নারী নির্যাতন বন্ধ হোক। পরিচালক যেনো এমন ভাবনাই উস্কে দিতে চেয়েছেন টেলিফিল্মটিতে। পরিচালকের মতো মত আমাদেরও সেটাই চাওয়া।
মেজবাহ উদ্দিন সুমনের রচনা ও সাজ্জাদ সুমনের পরিচালনায় ঈদুল আযহায় চ্যানেল আইয়ের বিশেষ টেলিফিল্ম “হ্যাশ ট্যাগ মি টু” ইতোমধ্যেই টিভি দর্শকদের মন ছুঁয়ে ইউটিউব প্লাটফর্মেও তুমুল আলোচিত ও প্রশংশিত হচ্ছে। টেলিফিল্মটি ইতিমধ্যেই ইউটিউবে ২ লাখেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন। প্রতিদিন ভিউ সংখ্যা বাড়ছে।
টেলিফিল্মটি দেখে নিতে পারেন চ্যানেল আইয়ের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে: