উন্নত বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশেও শপিং মন, রেস্তোরাঁ এবং হোটেলগুলোর টয়লেটে থাকে হ্যান্ড ড্রায়ার। হ্যান্ড ড্রায়ারের নিচে হাত রাখলেই স্বয়ংক্রিয় বাতাসে শুকিয়ে যায় হাত। তাই টিস্যুর বিকল্প হিসেবে হ্যান্ড ড্রায়ারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিন দিন। কিন্তু জানা গেছে হ্যান্ড ড্রায়ারের মাধ্যমে ছড়াতে পারে মলের ব্যাকটেরিয়া।
নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, হাত ভালো করে ধুয়ে আসার পরে মাত্র ৩০ সেকেন্ড হ্যান্ড ড্রায়ার ব্যবহার করলে হাতে মলের ব্যাকটেরিয়া লেগে যেতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব কানেকটিকাট স্কুল অব মেডিসিনের করা অ্যাপ্লাইড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মাইক্রোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাটি ৩৬টি বাথরুমের ওপরে করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে হ্যান্ড ড্রায়ারের এয়ার-ব্লাস্টেড প্লেটগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া আটকে থাকে। অর্থাৎ, হ্যান্ড ড্রায়ারগুলো ব্যাকটেরিয়ার রিজার্ভার হিসেবে কাজ করে। যখন হাত শুকানোর জন্য বাতাস বের হয়, তখন বাতাসের সাথে মানুষের হাতে ব্যাকটেরিয়াগুলো ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের মলের ব্যাকটেরিয়াও আটকে থাকে হ্যান্ড ড্রায়ারে। ফলে হ্যান্ড ড্রায়ারের মাধ্যমে প্যাথোজেন ও স্পোরগুলো পুরো বিল্ডিং এবং বিল্ডিং এর বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে নানা রোগ ছড়ায়।
মূল গবেষক পিটার সেটলো জানান, কমোডের ঢাকনা না থাকলে কিংবা ফ্ল্যাশ করার সময় কমোডের ঢাকনা বন্ধ করে না নেয়ার কারণে মূলত মলের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। একারণে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, হাত ধোয়ার পরে হ্যান্ড ড্রায়ার ব্যবহার না করে টিস্যু ব্যবহার করার জন্য। সিএনবিসি