চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘হু’জ হু বাংলাদেশ’এ ১৪৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি

বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, ক্রীড়া, কৃষি, সাংবাদিকতা, ব্যবসা বাণিজ্য এবং নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে থেকে স্ব স্ব ক্ষেত্র বিশেষ অবদানের জন্য ১৪৪ জন ব্যক্তির সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ‘হু’জ হু বাংলাদেশ’ ( Who’s Who Bangladesh)।

রোববার বাংলামোটরে এমটিবি ভবনে প্রকাশনার মোড়ক উম্মোচন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর এ প্রকাশনা করা উচিত, এ প্রকাশনাটা কাজে লাগে, বিশেষ ক্ষেত্রে কারো সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে হু’জ হু দেখে ঠিক করে নেওয়া যায়। আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে খুব কাজে লাগে এটা।

তিনি বলেন, বছরের শুরুতেই এই বই প্রকাশ করা দরকার। এতে ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ইমেইল দিলে ভাল হবে। এতে তার সাথে যোগাযোগ করা সহজ হবে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে (তৎকালীন পাকিস্তান) এর আগে ১৯৫০ সালে হু’জ হু প্রকাশিত হয়, প্রকাশক ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুর মুত্তাকিম চৌধুরী। তখন আমি (অর্থমন্ত্রী) এইচএসসিতে পড়ি। প্রতিবছর বের করলে উপযোগী হিসেবে কাজ করবে এটা।

অনুষ্ঠানে অ্যামিরেটস প্রফেসর আনিসুজ্জামান বলেন, এই জীবনীপঞ্জিতে কোন দেশের বিশেষ ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়। আমাদের দেশে এই উদ্যোগের জন্য অভিনন্দন জানাই। এ প্রকাশনাটা নিয়মিত বের করা উচিত, স্থপতি চিকিৎসক আইনজীবীসহ সমাজের সব স্তর থেকে বিশিষ্টজনের নাম সংযুক্ত করা উচিত। ২০১৬ সালেরটা এখন প্রকাশিত হলেও নিয়মিত উদ্যোগ নিলে ভাল হয়। ছবি কম করে বেশিজনের কথা থাকলে ভাল হয়। আশা করি এ প্রকাশনার ধারাবাহিকতা থাকবে।

জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি অ্যামিরেটস প্রফেসর ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হু’জ হু বাংলাদেশ এর প্রধান নির্বাহী নাজিনুর রহিম, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জেপি, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।

হু’জ হু ১৮৪৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্বে অনুসরণীয় গুণীজনদের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ এবং পদক দিয়ে আসছে। ৬৭টি দেশ থেকে এ প্রকাশনাটি প্রকাশিত হয়। এখন পর্যন্ত তারা বিশ্বে ৩৩ হাজার গুণীজনের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করেছে।

প্রকাশনায় প্রথমবার হু’জ হু বাংলাদেশ পদক প্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত সন্নিবেশিত হয়েছে তারা হলেন- কৃষিতে শাইখ সিরাজ, শিল্প ও সংস্কৃতিতে সানজিদা খাতুন, শিক্ষাক্ষেত্রে প্রফেসর আনিসুজ্জামান, সাংবাদিকতায় তোয়াব খান, শিল্প ও সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, সামাজিক কর্মকান্ডে স্যার ফজলে হাসান আবেদ, ক্রীড়া ক্ষেত্রে আকরাম খান, শিল্প বাণিজ্য ক্ষেত্রে রহিম আফরোজ গ্রুপ, উদ্যেক্তা হিসেবে এম আনিস-উদ্দৌলা, নারী উদ্যেক্তা প্রীতি চক্রবর্তী।

এছাড়া প্রবাসীদের মধ্যে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন গুণী মানুষ হিসেবে এই পদক পান। লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান আব্দুল গাফফার চৌধুরী।