তিনি মেইলের উত্তর দিচ্ছেন না। ফোনও বন্ধ রেখেছেন। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তার সঙ্গে সরাসরি কথা না হওয়া পর্যন্ত আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব না। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের এমন কথার একদিন পরই হাথুরুসিংহের নাগাল পাওয়া গেছে। টাইগারদের কোচের আসন ছাড়তে পদত্যাগপত্র দিয়ে রাখা হাথুরুর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পেরেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। তবে ফলপ্রসূ কোন সমাধান শোনাতে পারেননি।
হেড কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহের জায়গায় তাই বিকল্প ভাবতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। তবে তাহাহুডা করে কোন সিদ্ধান্ত নেবে না দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। একই সঙ্গে চলছে হাথুরুকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও।
শনিবার হাথুরুসিংহের সঙ্গে সিইওর টেলিফোনে যোগাযোগ হওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানান বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস। দুপক্ষের মধ্যে কী আলাপ-আলোচনা হয়েছে সেটি অবশ্য জানাননি। কোচ ফেরাতে বিসিবির চেষ্টা যে অব্যাহত রয়েছে সেটি অবহিত করেন তিনি।
‘হ্যাঁ, কোচের সঙ্গে আমাদের সিইওর যোগাযোগ হয়েছে। টেলিফোনে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে সে জয়েন করবে কি-না সেই বিষয়ে এখনো তেমন কিছু জানা যায়নি। সে যদি একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয় যে আসবে না, তাহলে আমরা নতুন কোচের বিষয়ে চিন্তা করব।’
সেইসঙ্গে ভালমানের কোচ পেতে সময় নেওয়ার কথাও বললেন জালাল ইউনুস, ‘নতুন কোচ নিয়ে তেমন কোন তাড়াহুড়া করব না। কারণ, যাকে আমরা নতুনভাবে নিয়োগ দিতে চাইব সে যেন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে আমি বলবো, উপমহাদেশীয় কোচ যদি হয় তাহলে অনেক ভাল হয়। আর তার আগের সময়টাতে আমরা স্থানীয় কোচ দিয়েই চালাতে চেষ্টা করব।’
ভাল কোচের সন্ধান পাওয়া কষ্টসাধ্য সেটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে জালাল বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা যেন একটা ভাল কোচ নিয়ে আসতে পারি। তবে ভাল কোচ পাওয়া এত সহজ নয়। হঠাৎ করেই আপনি কোন ভাল কোচ পেয়ে যাবেন না। এখন ভাল মানের ও প্রফেশনাল কোচদের অনেক চাহিদা। যদি আমরা তিন মাসের মধ্যে সেরকম কোন কোচ না পাই, তাহলে কোন স্থানীয় কোচ দিয়ে ব্যবস্থা নিব।’