বাগেরহাটের মোল্লাহাটে হাতির আক্রমণে দুই নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোরে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার ঘোনাপাড়া এলাকা থেকে হাতিটি শেকল ছিঁড়ে মধুমতি নদী পার হয়ে মোল্লাহাট উপজেলা এলাকায় চলে আসে।
উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামে এবং আড়জুড়ি ইউনিয়নের কাহালপুর ও বাসাবাড়ি এই তিন গ্রামের ওই তিন জন উন্মত্ত হাতিটির আক্রমণে মারা যায়।
নিহতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের ইয়ার আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫), কাহালপুর গ্রামের যতিন্দ্রনাথ বিশ্বাসের স্ত্রী কুসুম বিশ্বাস (৬১) ও বাসাবাড়ি গ্রামের ফুলমিয়া ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমান ফকির (৪৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার ভোরে হাতিটি উন্মত্ত হয়ে শেকল ছিড়ে মধুমতি নদী পার হয়ে মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের গারফা গ্রামে ঢুকে পড়ে।
প্রথমে হাতির আক্রমণে মনোয়ারা বেগম নিহত হন। এরপর উন্মত্ত হাতিটি দৌড়াতে কাহালপুর গ্রামে গিয়ে পথচারী কুসুম বিশ্বাস ও বাসাবাড়ি গ্রামে মিজান ফকিরকে হত্যা করে।
তাণ্ডবের আড়াই ঘন্টা পরে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হাতির মাহুত ও গ্রামবাসী পুলিশের সহযোগিতায় হাতিটিকে কিছুটা শান্ত করতে সক্ষম হয়।
হাতিটি মোল্লাহাট উপজেলার বাসাবাড়ি গ্রামে একটি বাঁশ বাগানে আটকে রাখা হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উন্মত্ত হাতিটিকে দেখতে সেখানে আশপাশের গ্রামগুলো থেকে নানা বয়সী মানুষ ছুটে আসে।
ঘটনার বিষয়ে মাহুথ মো. ফারুক জানান, হাতিটি গোপালগঞ্জের ঘোনারপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে বাঁধা ছিল। শনিবার ভোরে শিকল ছিড়ে ছুটে যায়। পরে আর তাকে ধরা যায়নি।