চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

গারো মেয়ের ধর্ষকদের ধরতে যোগাযোগ প্রযুক্তি

ডাক্তারি পরীক্ষায় গারো তরুণীকে গণধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যাওয়ার পর আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধর্ষকদের সনাক্ত এবং তাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরুর কথা জানিয়েছে পুলিশ। মামলা দায়েরের পর থেকে মেয়েটিকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান অপরাধ বিভাগের উপকমিশনার লুৎফুল কবীর চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেছেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তারা ধর্ষকদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের বিষয়ে আশাবাদী।

তিনি জানান, মেয়েটির মোবাইল ফোনের আশেপাশে ওই সময়ে অন্য যে ফোনগুলো সক্রিয় ছিলো সেগুলো চিহ্নিত করে অপরাধীদের সনাক্ত করা যাবে।

কুড়িল এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষার কথাও জানিয়েছেন পুলিশের উপকমিশনার।

এর আগে পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ আটজনকে সনাক্ত করে।

তবে পুলিশ আটজনের কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় তাদের সন্ধানে জনপ্রতি এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ সদর দপ্তর।

গারো তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা
চলন্ত মাইক্রোবাসে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার দেড়দিন পর শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এক্সরে এবং ডিএনএ টেস্টসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয় সেসময়।

পরে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান, ডাক্তার মোহাম্মদ হাবিব উজ জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গারো তরুণীকে গণধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে মেয়েটি অসুস্থ।

আগামী সাত দিনের মধ্যে ফরেনসিক পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ভাটারা থানাকে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

চলন্ত মাইক্রোবাসে গণধর্ষণ
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলার মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কুড়িলে গারো মেয়েটিকে মাইক্রোবাসে তুলে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মেয়েটি বাসের জন্য রাস্তার পাশে দাাঁড়িয়েছিলেন। সেসময় মাইক্রোবাসে আসা কয়েকজন তাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণ করে তারা।

পরদিন ভাটারা থানায় মামলা হলে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় পুলিশ।

ধর্ষণের ঘটনায় সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। গারো শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে।