হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ জুলাই (শনিবার) ঘটনাস্থলে যাবে ইতালি ও জাপানের প্রতিনিধিদল। নিহতদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণের পাশাপাশি মোমবাতি জ্বালিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করবেন তারা।
ওইদিন সকাল ৭টায় জাপান এবং বেলা ১১টায় ইতালির প্রতিনিধিদল শ্রদ্ধা জানাবে।
নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ইতালির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। গতকাল বাংলাদেশে উদ্দেশ্যে তারা মিলান(ইতালির শহর) ছেড়েছিলেন।
ইতালি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্কো তোসসিনি। তিনি ইতালির লোমবার্দি আঞ্চলিক সরকারের কাউন্সিলর এবং পরিকল্পনা ও বাজেট-সংক্রান্ত প্রথম স্থায়ী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট।
ওই হামলায় দেশি-বিদেশিসহ মোট ২২ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায়। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ জনই ছিলেন ইতালির নাগরিক। এর মধ্যে লোমবার্দি শহরের দু’জন। যারা প্রত্যেকে ওই শহরের ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান ছিলেন।
নিহতদের স্মরণে বিশেষ আয়োজন থাকছে ইতালিতেও। লোমাবার্দি সরকারের উদ্যোগে পহেলা জুলাই পিয়াচ্ছা লিবের্তায় এক বিশেষ প্রার্থনা ও শোকসভার আয়োজন করা হয়েছে।
গত বছর ১ জুলাই শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় কয়েকজন সশস্ত্র জঙ্গি। তারা দেশি-বিদেশিদের জিম্মি করে। ঘটনার পর অভিযান চালাতে গেলে জঙ্গিদের হামলায় বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম নিহত হন।
পরদিন শনিবার সকালে যৌথ বাহিনী ওই রেস্টুরেন্টে কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
বিদেশিদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়,৭ জন জাপানি ও একজন ভারতীয়। বাংলাদেশীদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছিলেন।
ছবি- ওবায়দুল হক তুহিন