মাইলফলক ডাকছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। অপেক্ষাটা ছিল মাত্র ২৮ রানের। বুধবার ক্লনটার্ফে এইকটি রান করেই বাংলাদেশের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে তিন হাজারি ক্লাবে নাম লেখালেন টাইগার অলরাউন্ডার। তার ওয়ানডে রান এখন ৩০১৮।
দিনটি মাহমুদউল্লাহ ও তার টাইগার দল-সমর্থকদের জন্য আরো বেশি স্মরণীয় হয়ে থাকছে। কারণ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবারের জয়ে প্রথমবারের মত আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের ছয় নম্বর আসনটা নিজেদের করে নেওয়ার সঙ্গে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলাও নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
ত্রিদেশীয় সিরিজ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দেশ ছাড়ার আগে মাহমুদউল্লাহর ফর্ম নিয়ে জোরদার প্রশ্ন ছিল। শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট দল থেকে বাদও পড়েছেন। সফরের মাঝ পথে দেশে ফিরে আসা না-আসা নাটক-আলোচনা নিয়েও সরগরম ছিল ক্রিকেটাঙ্গন। দলে শক্তপোক্ত জায়গাটা যখন নড়বড়ে, তখন ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করে স্কোয়াডে টিকে যান। প্রস্তুতি ম্যাচের পর টানা দুই ম্যাচে দলের বিপদে হাল ধরে সমালোচনার বাকি জবাবটা ব্যাটেই দিলেন গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে টানা দুটি সেঞ্চুরি করে আলোচনায় আসা এই টাইগার।
মেলাহাইডে আইরিশদের বিপক্ষে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকায় ৭ মাস পর একটা ওয়ানডে ফিফটির অপেক্ষাটা দীর্ঘই হয়েছিল মাহমুদউল্লাহর। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ম্যাচে ৫৬ বলে ৫১ রানে সেটা মিটিয়ে ফিরেছেন। বুধবার ৬ চার ও এক ছয়ে ৩৬ বলে অপরাজিত ৪৬।
ফর্মটা ধরে রেখে ত্রিদেশীয় সিরিজেই তিন হাজারি মাইলফলকটা ছুঁতে কোন সমস্যাই হবে না মাহমুদউল্লাহর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০৭ সালে কলম্বোতে ওয়ানডে অভিষেকের পর ১৪১টি ওয়ানডে খেলে ফেললেন। তাতে ১৭টি অর্ধশতকের সঙ্গে শতক ২টি। সর্বোচ্চটি অপরাজিত ১২৮ রানের। এখন তামিম, সাকিব, মুশফিক, আশরাফুলদের তিন হাজারি এলিট ক্লাবে নাম লেখালেন।
রিয়াদের আগে লাল-সবুজদের হয়ে অভিজাত ক্লাবটিতে নাম লেখানোদের মধ্যে ৫৪৫০ রান নিয়ে সবার ওপরে উদ্বোধনী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আছেন দুইয়ে, ৪৮১৫ রান নিয়ে। আর সাদা পোশাকের কাপ্তান মুশফিকুর রহিম ৪২৩৫ রান নিয়ে আছেন তৃতীয় স্থানে। চারে থাকা মোহাম্মদ আশরাফুলের রান ৩৪৬৮! তিনি অবশ্য ফিক্সিংয়ের দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত আছেন অনেকদিন।