চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

স্বাধীনতাবিরোধী মোনায়েম খানের দখল করা জমি উদ্ধার

রাজধানীর বনানীতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী অন্যতম সংগঠক ও পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর আব্দুল মোনায়েম খানের দখল করা ১০ কাঠা জমি দখলমুক্ত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

সেখানকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি ভাঙ্গা হয়েছে মোনায়েম খানের বাড়ি ‘বাগ-ই-মোনায়েম’র অবৈধ অংশও।

উচ্ছেদের পর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, ৫০ বছর পর স্বাধীনতা বিরোধীদের  কবল থেকে ওই জায়গা দখলমুক্ত করা হলো। ওই জায়গায় সড়ক প্রশস্ত করা হবে।

বনানী কবরস্থানের পাশেই ২৭ নম্বর সড়কের এ ব্লকের ১১০ নম্বর বাড়ির বৈধ  জমি ৫ বিঘা। তবে ওই  জমির বাইরে ১০ কাঠা  জমি দীর্ঘদিন থেকে দখল করে মোনায়েম খানের পরিবার গড়ে তোলে বিভিন্ন স্থাপনা। সেখানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কার শোরুম, গার্ডরুমসহ প্রাচীর দেয়াল উচ্ছেদ করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

dsc_4847
মোনায়েম খানের দখল করা জমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএন‌সি‌সি) প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে‌ডিয়ার জেনারেল সৈয়দ আনোয়ারুল ইসলাম বনানী কবরস্থানের সামনে সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রি‌ফিং করেন। এরপর শুরু হয় আলো‌চিত উচ্ছেদ কার্যক্রম।

dsc_4852
মোনায়েম খানের দখল করা জমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

অনেক আগে থেকেই এলাকায় কোন কোন স্থাপনা অবৈধ তা পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছিল বলে জানায় ডিএনসিসি।

সিটি করপোরেশন থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধ ১০ কাঠা অংশটুকু উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এছাড়া মোনায়েম খানের বৈধ সম্পত্তির পরিমাণ ৫ বিঘা বলে জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ১০ কাঠা জায়গার সম্পত্তি দখল করে ছিলেন। উচ্ছেদের পর রাস্তা নির্মাণের জন্য জায়গাটি খুলে দেয়া হবে বলে বলেও জানানো হয়েছে।

মোনায়েম খানের দখল করা জমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
মোনায়েম খানের দখল করা জমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

তবে ওই  জমির ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আছে বলে দাবি করেছেন মোনয়েম খানের পরিবার। রাজধানীতে এ ধরণের আরো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

মুসলিম লীগের অন্যতম নেতা মোনায়েম খান ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের দায়িত্ব পান। তারপর থেকেই বাংলার মানুষের স্বাধিকার আন্দোলন দমনে পাকিস্তানিদের পক্ষে বড় ভূমিকা রাখেন। এ কারণেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বনানীর এই বাড়িতে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা তাকে গুলি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।