শারমিনের দাদা গান গাইতেন। বাবা গান লেখেন, সুর করেন। পছন্দ করেন গাইতেও। ফলে গানটা শারমিনের রক্তে ছিল। কোনো এক কারণে বাবা চাইতেন না মেয়ে গান করুক। তবে প্রতিভা কি আর ঢেকে রাখা যায়? বাবা না চাইলে কী হবে। মেয়ের অসীম প্রতিভা ঠিকই প্রস্ফুটিত হয়েছে বাংলা গানের বাগানে। বাবা-দাদার পথ ধরেই গাইছেন মাটির গান, প্রাণের গান, বাংলা গান। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ‘আড়ং ডেইরি-চ্যানেল আই বাংলার গান-২০১৬’তে।
সেই শারমিন এখন বাংলা সিনেমায়। মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘আলতাবানু’ চলচ্চিত্রে একটি গান গেয়েছেন শারমিন। প্লেব্যাক করেছেন আরও তিনটি ছবিতে। ‘সনাতন গল্প’ নামের একটি বাংলা ছবিতে গেয়েছেন তিনটি গান। গেয়েছেন বাবার সাথেও। নাম ঠিক না হওয়া আরও তিনটি চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দেওয়া হয়ে গেছে।
এ বছর এসএসসি দেওয়া ময়মনসিংহের মেয়ে শারমিন যেন হাওয়ায় ভাসছেন। আপাতত অপেক্ষা ‘আলতাবানু’ ছবি মুক্তির। হলে বসে শুনতে চান নিজের গান, দেখতেও চান।
প্লেব্যাকে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে শারমিন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ‘খুব ইচ্ছে ছিল চলচ্চিত্রে গাইবো। বাংলার গান-২০১৬ আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকেই অপেক্ষা করছিলাম। কারণ, এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের সুযোগ মিলবে এমনটা ছিল পুরস্কারের তালিকায়। অপেক্ষার অবসান ঘটালেন আলতাবানুর পরিচালক। ফোন দিয়ে বললেন, সিনেমায় প্লেব্যাক করতে হবে। চলে আসো। ফরিদ আহমেদ স্যারের স্টুডিওতে চলে গেলাম, কণ্ঠ দিলাম। তারপর থেকে নতুন করে অপেক্ষা শুরু।’
৩ মার্চ আলতাবানু সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে ইউটিউবে। ছবিতে কণ্ঠ দেওয়া গান প্রসঙ্গে শারমিন বলেন, ‘আমি গেয়েছি, সোহাগ চাঁন বদনী ধ্বনি নাচো তো দেখি গানে। আলতা ও বানু দুই বোনের ছোটবোন সম্ভবত আমার গানে ঠোঁট মেলাবে। গানের কম্পোজ করেছেন ফরিদ আহমেদ।’
চলচ্চিত্রে সুযোগ পেলেই গাইতে চান শারমিন। তবে তার দৃষ্টি থাকবে সবসময় মাটির গান এবং বাংলা গানের দিকে। আপাতত শারমিনের ব্যস্ততা মঞ্চের গান নিয়ে। আসছে পহেলা বৈশাখে টিভি লাইভসহ চারটা অনুষ্ঠান হাতে রয়েছে তার। জানালেন, ‘আজীবন থাকতে চান বাংলার গানের সঙ্গে এবং চ্যানেল আই পরিবারের একজন হয়ে।’