প্রিমিয়র লিগে স্বপ্নের শুরু লিভারপুলের। ‘অল রেড’দের কাছে পাত্তাই পেল না এবার আবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা নরউইচ সিটি। ঘরের মাঠে ৪-১ গোলে জিতে শুরু করল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। তবে এতো বড় জয়ের পরও গোলকিপার অ্যালিসনের ইনজুরিতে দিনশেষে কিছুটা ফ্যাকাসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার রাতে অ্যানফিল্ডে ইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বল প্রতিপক্ষকে হেলায় হারায় গতবারের রানার্স লিভারপুল। ম্যাচের ৭ মিনিটেই আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব জয়ীর। বাঁ-দিক থেকে দিভোক অরিগির ক্রসে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন নরউইচ অধিনায়ক গ্র্যান্ট হ্যানলি।
এর পর আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ১৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিভারপুল। ডি-বক্সের ভেতর জটলা থেকে রবের্তো ফিরমিনোর বাড়ানো বলে জালে জড়াতে ভুল করেননি গত মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা মোহামেদ সালাহ। গোলের ধারা অব্যাহত থাকে ক্লপের শিষ্যদের।
নবাগত নরউইচ আরও পিছিয়ে পড়ে ভার্জিল ভন ডাইকের হেডে। ২৮ মিনিটে সালাহ’র কর্নার থেকে বল সরাসরি যায় ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ডাচ ডিফেন্ডারের মাথায়। গোল করতে ভুল করেননি ডাইক।
অ্যানফিল্ডে তখন শুরু হয়ে গেছে লাল বিপ্লব। তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ব্রাজিলিয়ন ফরোয়ার্ড ফিরমিনোর জোরাল ভলি ঠেকিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচান ডাচ গোলরক্ষক টিম ক্রুল। তবে গোলের জন্য মরিয়া লিভারপুল বিরতির আগেই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয়। ডিফেন্ডার ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের নিখুঁতভাবে বাড়ানো বল হেডে জালে পাঠান বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড অরিগি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারত দ্য রেডস। জর্ডান হেন্ডারসনের জোরাল শট আটকে দেন নরউইচ গোলকিপার। এরপর অবশ্য ব্যবধান কমানোর সুযোগ আসে অতিথিদের সামনে। ৬৩ মিনিটে লাইটনারের জোরাল শট ক্রসবারে লাগে। যদিও পরক্ষণেই অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে ব্যবধান কমান নরউইচ স্ট্রাইকার তেমু পুক্কি। শেষ পর্যন্ত ৪-১ শেষ হয় ম্যাচ। সেই সঙ্গে অ্যানফিল্ডে টানা ৪১ লিগ ম্যাচে অপরাজিত থাকল লিভারপুল।
তবে এতো বড় জয়ের পরও দিনশেষে কিছুটা ফ্যাকাসে লিভারপুল। কারণ ইনজুরিতে পড়েছেন গোলকিপার অ্যালিসন বেকার। ম্যাচের ৪২ মিনিটের সময় মাঠ ছেড়ে যেতে হয় ব্রাজিলিয়ান কিপারকে। পায়ের ইনজুরিতে পড়েছেন তিনি। পরের ম্যাচের আগে দলের একনম্বর গোলকিপার সুস্থ হয়ে উঠবেন কিনা সেটাই একমাত্র চিন্তা ক্লপ বাহিনীর।