চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে হত্যা করেও নির্বিকার, অবশেষে আটক

নরসিংদীর বেলাবতে ঘরের ভেতর থেকে মা ও দুই শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে গিয়াস উদ্দিন শেখকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

প্রাথমিকভাবে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর পিবিআই পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান। জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও ব্যাট উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের বাবলা গ্রামের ওই বাড়ির দুইটি মাটির ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আটকের পর গিয়াস উদ্দিন শেখ পিবিআই এর কাছে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছেন। পিবিআই জানায়, শনিবার রাতে গিয়াস উদ্দিন তার কর্মস্থল গাজীপুর গোপনে বাড়িতে আসেন। স্ত্রী রাহিমা বেগমের কক্ষে ঢুকে একটি ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে উপর্যুপরি পেটান। পরে তাঁর পায়ে ধরে টেনে মেঝেতে ফেলে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন তিনি। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পাশের ঘরে গিয়ে ঘুমন্ত দুই সন্তানের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ওই ব্যাট দিয়ে উপর্যুপরি পিটিয়ে হত্যা করেন তিনি। পরে দুই ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকে রেখে তিনি পালিয়ে যান।

পিবিআই আরও জানায়, কী কারণে কারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে যার যার মত তদন্ত করছিল ডিবি, র‌্যাব, সিআইডি, পিবিআই ও পুলিশ কর্মকর্তারা। গিয়াস উদ্দিন শেখ তাদের তদন্তে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছিলেন। কিন্তু তাকে খুবই নির্বিকার লাগছিল। দিব্যি স্বাভাবিক ছিলেন। তাকে প্রথমে কোন সন্দেহও হয়নি আমাদের। তিনি আমাদের জানান ঘটনার সময় তিনি গাজীপুরে ছিলেন। পরে তদন্তের স্বার্থে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বার ট্র্যাক করে আমরা জানতে পারি, হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন। এরপরই সন্দেহ থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর জেরার মুখে তিনি আমাদের কাছে মৌখিকভাবে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নরসিংদীর পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় গাজীপুরে ছিলেন জানালেও আমরা তার মোবাইল ট্র্যাক করে জানতে পারি তিনি ওই সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন। এছাড়া একজন নারীর সঙ্গে তার মুঠোফোনে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার বিষয়টিও আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এই দুই কারণে আমরা তাকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আমাদের কাছে মৌখিকভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপরই তাকে আটক করা হয়।