‘শিকারি আমার প্রথম যৌথ প্রযোজনার সিনেমা, ইন্টারন্যাশনাল মানের সিনেমা। এই সিনেমা দিয়ে আমি উপলব্ধি করেছি শিল্পীর কোনো দেশ নেই, গণ্ডি নেই। শিল্পীর জন্য পুরো পৃথিবী উন্মুক্ত। শিকারি’তে কাজের সময় চেষ্টা করেছি, আমার দেশের সম্মান রক্ষার জন্য। শুধু তাই নয়, যখনই দেশের বাইরে কাজ করি সবসময় দেশ ও ইন্ডাস্ট্রির সম্মান রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।’
জাজ মাল্টিমিডিয়া ও এসকে মুভিজের যৌথ প্রযোজনায় ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শিকারি’ ছবি প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন বাংলাদেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। তার এই ছবিটিকে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ তাদের ১৪ তম বর্ষপূর্তিতে (৮ অক্টোবর) পুরস্কার প্রদান করেছে। ২০০৪ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে যেসব সিনেমা সিনেপ্লেক্স প্রদর্শন করে ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য পেয়েছে তার মধ্যে ‘শিকারি’ একটি।
পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শাকিব খান। আরও ছিলেন ‘শিকারি’র একাংশের প্রযোজক আবদুল আজিজ, ওমর সানী, অমিত হাসান প্রমুখ। ‘শিকারি’র জন্য পুরস্কার গ্রহণের পর শাকিব খান বলেন, ‘শিকারি’র শুটিংয়ের সময় আমি যখন বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছিলাম তারা জানতো আমি বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান সুপারস্টার। তখনই আমি দেখেছি, সেখানকার টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। আমি কি করি!’
ঢাকাই ছবির এই ‘টপ হিরো’ বলেন, ‘ঠিক ওই সময় আমার ভেতরে কাজ করেছে, আমি ফেল করলে আমার ইন্ডাস্ট্রি ফেল করবে। ভেবেছিলাম আমি যদি সেরাটা না দিতে পারি, তবে লজ্জিত হবে আমার ইন্ডাস্ট্রি। আমার ইন্ডাস্ট্রির গুণী মানুষগুলো। এত বছরের ক্যারিয়ারে আমি যতটুকু শিখেছি অভিনয়, লুক চেঞ্জ, ফিটনেস সবদিক দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আমার ইন্ডাস্ট্রির সম্মান রক্ষার জন্য।
২০১৬ সালে ঈদে মুক্তি পর ‘শিকারি’ তুমুল আলোচিত ও সাফল্য পায়। প্রথম ছবি দিয়েই কলকাতার দর্শকদের কাছে পরিচিত পান শাকিব খান। এ বিষয়ে শাকিব বলেন, ‘মুক্তির পর ‘শিকারি’ সাফল্য পেয়েছে। সেজন্য আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আমার ইন্ডাস্ট্রি ও দেশের মান রাখতে পেরেছি। সুনাম অর্জন করেছি।’
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে দেশের জনপ্রিয় সিনেথিয়েটার ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’। সেই হিসেবে আজ পূর্ণ হলো ১৪ বছর। দীর্ঘ এই বছরগুলোতে হলিউডের ছবির পাশাপাশি দেশের ছবিও প্রদর্শন করে সিনেমা হলটি চলচ্চিত্র শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছে। এসব ছবির মধ্যে শাকিব খান অভিনীত ‘শিকারি’ ছাড়াও দেশের অনেকগুলো ছবি ভালো চলেছে সিনেপ্লেক্সে। ছবিগুলোকেও পুরস্কার দিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য ও দর্শক প্রিয়তা পাওয়া ছবির মধ্যে রয়েছে মোল্লা বাড়ির বৌ, দারুচিনি দ্বীপ, মনপুরা, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নম্বর, গেরিলা, চোরাবালি, প্রজাপতি, জিরো ডিগ্রী, ঢাকা অ্যাটাক, হৃদয়ের কথা, চন্দ্রগ্রহণ, আয়নাবাজি ও ভুবন মাঝি।
সবগুলো ছবির অভিনয় শিল্পী, নির্মাতা কিংবা প্রযোজক উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। পুরস্কার প্রদান করেন স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চলচ্চিত্র অভিনেতা আকবর পাঠান ফারুক, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চঞ্চল চৌধুরী, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, অনিমেষ আইচ, ভাবনা, কনা, পূর্ণিমা, আরিফিন শুভ, জয়া আহসান, রোশান,পপি, শহিদুজ্জামান সেলিম, রেদওয়ান রনি প্রমুখ।