সারাদেশে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিনেমা হল। কারণ, চাহিদার তুলনায় কম ছবি নির্মিত হচ্ছে। আবার যেসব ছবি নির্মিত হচ্ছে অধিকাংশই মানহীন, দর্শক দেখছেন না। এসব ছবি চলছে না বলে সিনেমা হল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন হল মালিকরা। সিনেমা হল ভেঙে ঝুঁকছেন অন্য ব্যবসায়।
তবে পিছু হাঁটছে না রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জানান, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকায় সিনেপ্লেক্স নির্মাণ হবে। জায়গাগুলো হলো ধানমন্ডি (সীমান্ত স্কয়ার সংলগ্ন সীমান্ত সম্ভার), মহাখালী, উত্তরা ও পূর্বাচল সিটি।
গতকাল (সোমবার) স্টার সিনেপ্লেক্সের ১৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে দেশের জনপ্রিয় এই সিনেথিয়েটারের কর্ণধার বলেন, সীমান্ত সম্ভারে (ধানমন্ডি) তিনটি মাল্টিপ্লেক্স করেছি খুবই মডার্ন ডিজাইন দিয়ে। সবকাজ শেষ। শুধুমাত্র চালু হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা বাকি।
এছাড়া নগরীর গুলশান, বনানী ও এর আশপাশ এলাকায় বসবাসরতদের জন্য মহাখালীতে একটি মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এর প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে জানান স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, উত্তরা ও পূর্বাচল এলাকাতেও সিনেপ্লেক্স নির্মাণ হবে। একেবারেই নতুন প্রযুক্তি থাকবে সেখানে। দর্শক এতদিন থ্রিডিএক্স টেকনোলজি দেখেছেন। নতুন এসব মাল্টিপ্লেক্সের আমরা কোরিয়ার অত্যাধুনিক ফোরডিএক্স দেখাবো। এটি সারাবিশ্বে সাড়া ফেলেছেন।
স্টার সিনেপ্লেক্স এর চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ফোরডিএক্সে সিট মুভমেন্ট করবে। ছবিতে বৃষ্টি দেখলে পানি পড়বে, বরফ দেখলে ঠাণ্ডা হাওয়া লাগবে, বোমা ব্লাস্ট হলে গরম হাওয়া আসবে। এটা ছবি দেখায় অন্যরকম ফিলিং আনবে।
এগুলো কাজ শুরু হলে তারপরেই নতুন করে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ শুরু হবে বলেও উল্লেখ করেন মাহবুবুর রহমান।
মাল্টিপ্লেক্স আকারে সিনেথিয়েটার নির্মাণের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করবে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিবছর কমপক্ষে চারটি সিনেমা প্রযোজনা করতে চাই। এগুলো সব আমাদের চারপাশের গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত হবে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চট্টগ্রামের কিছু অংশের গল্প, নারীর ক্ষমতায়ন, মাদক এসব গল্প নিয়েই ছবি প্রযোজনা করা হবে৷ কোন ছবি আগে শুরু হবে শিগগিরই এ বিষয়ে মহরতের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে এমনটাই বলেন স্টার সিনেপ্লেক্সের কর্ণধার মাহবুবুর রহমান।