নাশকতা হামলার চেষ্টায় দুটি সৌদি তেলের ট্যাঙ্কে মারাত্বক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজারিয়া সৈকতে রোববার এই ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সৌদি জ্বালানী মন্ত্রী।
এটাকে বিশ্ব জ্বালানী নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে।
একটি বিবৃতিতে সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ বলেছেন, ফুজাইরাহ বন্দরের কাছাকাছি ওই হামলায় জাহাজগুলোর ‘অনেক’ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছে, অনেক গুলো দেশের নাগরিক থাকা দুটি জাহাজ হামলার শিকার হয়। তবে হতাহতের কোন তথ্য জানা যায়নি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, হামলার এই ঘটনা ‘উদ্বেগজনক এবং ভীতিকর’ এবং এর পূর্ণ তদন্তের আহবান জানিয়েছেন।
এরপর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা চলছে। এখান দিয়ে বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের এক পঞ্চমাংশ রপ্তানি হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ও নৌ চলাচলের ওপর ইরানের হুমকির ‘পরিষ্কার ইঙ্গিত’ পাওয়ার কথা জানিয়ে কিছুদিন আগে ওই এলাকায় অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওই অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।
‘আরব উপসাগর অতিক্রমের সময় আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরের কাছাকাছি এলাকায় দুইটি সৌদি তেলের জাহাজ গুপ্ত হামলার শিকার হয়েছে।’, সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় প্রেস এজেন্সি মি. ফালিহকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে।
দুইটি জাহাজের একটি সৌদি অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাস তারুনা বন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরামকোর গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।
হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি, তবে দুইটি জাহাজের বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মি. ফালিহ বলছেন, সাগরে নৌচলাচলের এবং তেলবাহী জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ দায়িত্ব রয়েছে।
তবে ফুজাইরাহ বন্দরে রবিবার বিস্ফোরণের যে খবর দিয়েছিল আরব আমিরাতের গণমাধ্যম, তা নাকচ করে দিয়েছিল আমিরাতের সরকার।
ওই এলাকা দিয়ে নৌযান চলাচলের সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ।