চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

কমিয়ে ফেলুন সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি

সকালে ঘুম থেকে উঠেই কী করেন প্রথমে? উত্তরটা সবার জানা। স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন চেক করেন। রাতে ঘুমাতে গেলেও একই কাজ। ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ঘুমে চোখ ঢুলুঢুলু। কিন্তু স্মার্ট ফোনটি হাত থেকে রাখতে ইচ্ছে করে না। আর অফিসের টাইমে তো কাজের প্রয়োজনেই ব্যবহার করা হয় সোশ্যাল মিডিয়া। এক কথায় আমাদের জীবনটা এখন আটকে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার কারাগারে। কীভাবে কমানো সম্ভব এই আসক্তি? জেনে নিন কিছু পদ্ধতি।

নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন
সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর নোটিফিকেশন সাধারণত অন করা থাকে স্মার্ট ফোনে। নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন। কারণ, নোটিফিকেশনের শব্দে ফোনটা হাতে নেয়ার পর শুধুই কি নোটিফিকেশনটা দেখা হয়? নাহ, আনমনেই দীর্ঘ সময় চালানো হয় স্মার্ট ফোন। নোটিফিকেশন বন্ধ থাকলে বার বার স্মার্ট ফোন হাতে নেয়ার বদলে দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে বসে এক নজরে ঝটপট সব নোটিফিকেশন দেখে নিতে পারবেন। এতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি কিছুটা হলেও কমবে।

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ
সোশ্যাল মিডিয়ার নেশার কবল থেকে মুক্তি পেতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। দিনে কতক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটাবেন তা নিজেই ঠিক করে নিন। কখন সময় দেবেন সেটাও ঠিক করুন। এবার ঠিক ওই সময় বাদে অন্য সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ভুলেও ছোঁবেন না। এতে নেশা অনেকটাই কাটবে।

নতুন শখ নিয়ে সময় কাটান
সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া আর কিসে আগ্রহ আছে আপনার? ছবি আঁকা কিংবা গান শোনা? সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট না করে ক্রিয়েটিভ কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। এতে সময় কাটানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমবে।

পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটান
পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে গেলে কিংবা খাবার টেবিলেও কি চোখের সামনে স্মার্ট ফোন থাকে? সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তির কারণে আপনি হারিয়ে ফেলছেন সুন্দর পারিবারিক মুহূর্তগুলো। তাই পরিবারকে বেশি সময় দিন, আড্ডায় অংশ নিন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়িয়ে আসুন। এতে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তি অনেকটাই কমবে।

বই পড়ুন
সোশ্যাল মিডিয়ার আগ্রাসনে বই পড়ার অভ্যাস হারিয়ে যাচ্ছে না তো? বই তো সবচেয়ে কাছের বন্ধু। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার নেশায় বইকে দূরে ঠেলে না দিয়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যতক্ষণ বই পরবেন ততক্ষণ আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দেবেন না। এভাবে ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তি কবে আসবে। ফেমিনা।