ঐক্যফ্রন্ট ও বিকল্পধারার এবার সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন জাতীয় পার্টি ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আগামী ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির আমন্ত্রণ পত্র হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কাছে পৌঁছে দেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
বুধবার ৩১অক্টোবর সংলাপের বসার ইচ্ছে পোষণ করে প্রধানমন্ত্রীর পিএস-১ এর কাছে এ চিঠি পৌঁছে দেন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়।
১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ৈঐক্যফ্রন্ট দিয়ে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান এবং সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সংলাপ শুরু করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২ নভেম্বর শুক্রবার সংলাপে বসবে বিকল্পধারা বাংলাদেশ।
সোমবার হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে তাদের দল সংলাপে বসবে।
ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কারো কাছে নতিস্বীকার করে না। সংলাপের জন্য কোনো পূর্বশর্তও নেই। বঙ্গবন্ধু কন্যার দরজার কারও জন্য বন্ধ থাকে না। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এর আগে রোববার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ঘোষিত ৭ দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্য সম্বলিত একটি চিঠি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে পৌঁছে দেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার কাছে দেয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে সংলাপের আহ্বান জানানো হয়।
গত ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিসহ চারটি দলের সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আত্মপ্রকাশ করে।
নিরপেক্ষ নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি এবং ১১ দফা লক্ষ্যও ঘোষণা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।