সেই সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আটকের দীর্ঘ ৬ বছর পর চাঁদপুরের রসু খার ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হলো।
চাঞ্চল্যকর সিরিয়াল কিলার রসু খাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ায় চাঁদপুরবাসীসহ বাদী পক্ষের আইনজীবীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুণাভ চক্রবর্তী বিচারা শেষে এই আলোচিত রায় ঘোষণা করা হয়। খুলনার এক পোশাক শ্রমিককে হত্যার দায়ে হত্যাকারী রসু খাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
রায় ঘোষণার পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবীরা। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সরকারের সহায়তা পেলে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর রসু খাঁকে গ্রেফতারের পর চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ থানায় মোট ১০ টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ১ টি হত্যা ও অন্যগুলোতে নারী ও শিশু নিয়ার্তনের অভিযোগ করা হয়। পরে মামলাগুলো চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে একটি মামলার রায়ে খালাস পেয়ে যায় রসু খাঁ।এ অবস্থায় তার বাকি মামলাগুলো চাঁদপুর আদালতে পুনরায় ফেরত পাঠিয়ে দেয় ট্রাইব্যুনাল।
বর্তমানে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আরো ৮টি মামলার বিচারাধীন রয়েছে। বাকী মামলাগুলো যেন দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয় এটাই চাঁদপুরবাসীর প্রত্যাশা।
চাঁদপুরের মদনা গ্রামের ছিঁচকে চোর রসু খাঁ ভালবাসা ব্যর্থ হয়ে এক সময় সিরিয়ার কিলারে পরিণত হয়। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তার লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের চিত্র বেরিয়ে আসে। ঢাকার সাভার ও টঙ্গি এলাকার গার্মেন্টসের ১১ নারীকে হত্যার কথাও স্বীকার করে রসু খাঁ।