হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সর্বোশেষ ‘ফুলকোর্ট সভা’র সিন্ধান্ত অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের এবছরের অবকাশকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের
রেজিস্ট্রার জেনারেল মাে: আলী আকবর স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানাে যাচ্ছে যে, গত ৬ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহলে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের ২০২০ খ্রিস্টাব্দের বর্ষপঞ্জীতে থাকা ১৬ আগস্টের পরবর্তী অবকাশকালীন ছুটিসমূহ বাতিল করা হলো।’
এর আগে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে আদালত পরিচালনা বন্ধ হয়ে গেলে অনেক আইনজীবী ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য সোচ্চার হন। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘ফুল কোর্ট সভা’ থেকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারির জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সেই প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে “আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০” নামে গত ৯ মে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন (বর্তমানে যেটি আইন) রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ।
এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে গত ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত সংক্রান্ত কয়েকটি নির্দেশনা জারি করা হয়। যেখানে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ এবং অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের জন্য আলাদা আলাদা ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ দেয়া হয়। এছাড়া আইনজীবীদের জন্য প্রকাশ করা হয় ‘ভার্চুয়াল কোর্টরুম ম্যানুয়াল’।
এরই ধারাবাহিতায় গত ১১ মে থেকে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এরপর গত গত ৫ আগস্ট থেকে দেশের সকল অধস্তন আদালতসমুহে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। আর সর্বোশেষ গত ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে হাইকোর্টের ১৮ টি বেঞ্চে স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম। সেই সাথে চলছে ৩৫ টি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট ও আপিল বেঞ্চ।