পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে খুলনায় কর্মশালা হয়েছে। কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তনসহ মানবসৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবেলা এবং সুন্দরবনসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, অর্থনীতি বিভাগ এবং ইউএনডিপি এ কর্মশালার আয়োজন করে।কর্মশালায় সিসিইসি নির্বাহী পরিচালক মওদুদ রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নীতি নির্ধারকরা মাঠ পর্যায়ের নেতাদের কাছে কথা শুনতে পারেন জানতে পারেন তাহলে ওনাদের নীতিমালায় এটার প্রতিফলন ঘটবে।কর্মশালায় অংশ নেন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, সুন্দরবন এলাকার মানুষ এবং পরিবেশবিদরা। সুন্দরবননির্ভর সাধারণ মানুষরা বলেন, বনদস্যুরা সাধারণ মানুষদের জিম্মি রেখে টাকা আদায় করে।
সুন্দরবনসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের ভারসাম্য রক্ষায় নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানান বিশেষজ্ঞরা। পরিবেশবিদ বলেন, টপ লেভেল থেকে পলিসি করে সেটা মাঠ লেভেলে বাস্তবায়ন করা খুব সমস্যা হয়ে যায়। আমি মনে করি দক্ষিনাঞ্চল উন্নয়নের ক্ষেত্রে যারা দক্ষিনাঞ্চল নিয়ে চিন্তা করেন তাদেরই মতামত নেওয়া হয়েছে এ ওর্য়াকশপের মাধ্যমে। ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি সুন্দরবনসহ সামগ্রিক প্রতিবেশ ব্যবস্থা রক্ষায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষের সম্পৃক্ততার বিষয়টি তুলে ধরেন। ইউএনডিপির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টরনিক বেরেসফোর্ড বলেন, আমরা মুলত এ অঞ্চলের জন্য এ ওর্য়াকশপটা করেছি যদি আলাদা করে বলতে হয় তবে সুন্দরবনাঞ্চলের মানুষের জন্যই এ কাজ।
পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে ভুক্তভোগী এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার আশ্বাস পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা। প্ল্যানিং কমিশন, বাংলাদেশ সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম বলেন, উন্নয়নের সাথে সাথে যেন আমরা পরিবেশের বিষয়গুলো যথেষ্ট গুরুত্ব দেই বা আমাদের নীতিতে প্রতিফলন ঘটাই। আমরা যেন সুন্দরবনকে রক্ষা করি। আমরা যেন পরিবেশকে রক্ষা করি। আমরা যেনো মৎস্য সম্পদকে রক্ষা করি।
তিনি আরো বলেন, মানুষের জীবন জীবিকা যেনো পরিবেশ বান্ধব হয় সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করি।জীবনের অস্তিত্বের জন্য পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্ব বর্ণনা করে এ লক্ষ্যে সামনের দিনগুলোর জন্য দিক নির্দেশনা তুলে ধরেন আলোচকরা। সেই সাথে খুলনায় এক কর্মশালায় বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা