পহেলা আগষ্ট বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তির পর ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলের অধিবাসীদের চাওয়া খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সাথে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের পাশে দাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, আমরা আগে বুঝি নাই, জঙ্গলে যেমন পোকা মাকড় বাস করে ওইভাবে আমরা বসবাস করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে একটি পর্যবেক্ষক দল বিলুপ্ত ছিটমহল পরিদর্শন এবং ওই জনপদের বাসিন্দাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
অধিবাসীদের জন্য ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব খোলা, সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় অর্থ সহায়তা (সিএসআর), এসএমই ও কৃষি ঋণ দ্রুত চালুর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মোঃ খুরশিদ আলম। তিনি বলেন, অর্থায়ন নিয়ে খুব জোরেশোরে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছি। ব্যাংকগুলো ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আমরা এই আজকে সরেজমিনে এসেছি কত দ্রুত কাজ শুরু করা যায়।বিলুপ্ত ছিটমহল অধিবাসীদের জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ স্থানীয়দের।কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি আব্রাহাম লিংকন বলেন, কৃষিতে অবশ্যই উন্নয়ন করতে হবে কিন্ত শুধু কৃষির উন্নয়ন হলেই এদের মুল ধারায় নিয়ে আসা যাবে না আর তার জন্য প্রয়োজন শিল্পায়ন।
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সভাপতি মোঃ মইনুল হক বলেন, যে কোন ভাবে সরকার এ ছিটমহলগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শিল্পায়ন হোক বা অন্য কোনভাবে এ মানুষদের এগিয়ে নিয়ে যাবে এ বিশ্বাস আমরা করি। অধিবাসীরা ঋণ বিতরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালাসহ সুদমুক্ত ঋণ প্রদান এবং চাকুরি ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিথিলের দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষরা।
প্রতিনিধি দল বিলুপ্ত ছিটমহল পরিদর্শন ও অধিবাসীদের সাথে মত বিনিময় করে তাদের উন্নয়নে সহযোগী হওয়ার আশার কথা জানিয়েছেন।