সিরিয়া যুদ্ধ বন্ধে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে রাশিয়া ও তুরস্ক। মস্কোতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সাক্ষাতের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুই নেতা এই অঙ্গীকার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, ‘কাজ করার ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ে রাশিয়া-তুরস্ক কো-অপারেশন কাউন্সিলের মধ্যে কিছু দূরত্ব ছিলো। তবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিশ্ব এনার্জি ফোরামে আমাদের সাক্ষাতে যোগাযোগের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে আমাদের মধ্যেকার যোগাযোগের জন্য এই সম্মেলন খুবই ফলপ্রসূ ছিলো। রাশিয়া-তুরস্কের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
দুইদেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে এই বৈঠক অনেক ভূমিকা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘আমাদের দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক আবার ঠিকঠাক হয়ে যাচ্ছে। দুই দেশের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মধ্যে ভালো পেশাদারী সম্পর্ক রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন সংকট ও সমস্যা নিয়ে আমরা এক সাথে কাজ করে যাচ্ছি। এসবের মধ্যে প্রথমে আছে সিরিয়া।’
তিনি আরে বলেন, ‘আমি এই কথা বলতে পেরে আনন্দিত যে আমাদের দুই দেশের সেনা, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মধ্যে সফলভাবে খুবই আন্তরিক আলাপ সম্পন্ন হয়েছে। যা অনেকে চিন্তাই করেনি।এছাড়া দুই দেশের ব্যবসা ও অর্থনৈতিক সম্পর্কও এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পুতিন।’
সম্প্রতি সময়ে রাশিয়া ও তুরস্কের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়া সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষ নিয়ে আসলেও, বিদ্রোহীদের পক্ষে তুরস্ক। ২০১৫ সালে রুশ বিমান ভূপাতিতের ঘটনায় তুরস্কের উপর মস্কোর নানা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও জারি রয়েছে।
গত ডিসেম্বরে আঙ্কারায় হত্যার শিকার হন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। এমন নানা ঘটনায় রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানোর বিষয়েও একমত হন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।