মেজর (অবসরপ্রাপ্ত ) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ সাক্ষীকে তৃতীয় দফায় রিমান্ডের একদিন পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে তোলা হয়েছে।
তদন্তকারি কর্মকর্তা র্যাবের এএসপি খাইরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এর পূর্বে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।
বেলা ১১ টার দিকে আদালতের খাস কামরায় ১৬৪ ধারামতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি শুরু হয়। তিন পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী হলেন টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছ।
পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ সাক্ষীকে গতকাল ১ সেপ্টেম্বর ৩ দিনের রিমান্ডে নেয় তদন্তকারী সংস্থা র্যাব। দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে ১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় এ তিন জনকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ্’র আদালতে হাজির করে ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৫ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ্’র আদালতে তাদেরকে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক তামান্না ফারাহ্। গত ২৯ আগস্ট কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব তাদের হেফাজতে নিয়ে যান। এর আগে গত ২০ আগস্ট প্রথম দফায় তাঁদের সাত দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছিল।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। মেজর সিনহা খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে ১০ আগস্ট মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করলে গত ১২ আগস্ট আদেশের দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তার ১০ দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত। এ ৩ আসামীকে গত ১৪ আগস্ট র্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ২০ আগস্ট আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।