সিঙ্গাপুরের আদলে বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর ‘পায়রা সমুদ্র বন্দর’ গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সব আধুনিক সুবিধা থাকবে এই বন্দরকে ঘিরে। গভীরতা থাকায় বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মাদার ভেসেল সরাসরি বন্দরে পণ্য খালাস করা যাবে বলেও জানিয়েছে তারা।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আউটার অ্যাংকরেজ থেকে রায়নাবাদ চ্যানেলে ঢোকার পথে পানির সর্বনিম্ন গভীরতা ৫ মিটার এবং ভেতরে ১৬ থেকে ২১ মিটার। চ্যানেলের ৩৫ কিলোমিটার এলাকার ড্রেজিং শেষ হলে ২৫০ মিটার দৈর্ঘের জাহাজ অনায়াসে আসা যাওয়া করতে পারবে।
পায়রা সমুদ্র বন্দরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিকভাবে খুবই নিরাপদ জায়গা এটি। ভেতরে গভীরতা ১৬ থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত আছে। ন্যাচারালিই এটা খুবই ভালো একটি বন্দর। আমাদের শুধু চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মোহনার প্রতিবন্ধকতা। ড্রেজিং ঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারলে এটাকে গভীর সমুদ্রবন্দরে আমরা রূপান্তর করতে পারবো।
পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে গড়ে উঠার পর আশপাশের দেশগুলো ট্রানজিট সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, এই প্রজেক্টটা হলো ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। আমরা ১১২৮ কোটি টাকা এরই মধ্যে বরাদ্দ পেয়েছি, ২০১৮ সালের মধ্যে আমরা এগুলোর কার্যক্রম শুরু করবো। গভীর সমুদ্র বন্দর করার জন্য যে গভীরতা দরকার সেটি করার জন্য আমরা এরই মধ্যে বেলজিয়ামের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নে রাবনাবাদ চ্যানেলের পশ্চিম তীরে গড়ে উঠছে বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর ‘পায়রা’। বঙ্গপোসাগরের পোতাশ্রয় মুখ থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার একর জমির উপর গড়ে তোলা হচ্ছে এই বন্দর। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সীমিত আকারে চালু হয়েছে কার্যক্রম।
২০২৩ সালের মধ্যে চ্যানেলের ১৬ মিটার গভীরতার ড্রেজিং হলে ওই বছর থেকেই পূর্ণাঙ্গ বন্দরের রূপ লাভ করবে পায়রা সমুদ্র বন্দর।