চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সালমান শাহ্‌র ভক্তদের আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন

প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ্‌কে হত্যা করা হয়েছে। আর হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেছে তার ভক্তরা। ‘সালমান শাহ্‌ ঐক্যজোট, সারা বাংলাদেশ’ নামে ভক্তদের এই সংগঠন আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেছে। এর নেতৃত্ব দিয়েছেন সালমান শাহ্‌র ভক্ত শেখ মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘সালমান শাহর মামলার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবিতে আমরা ভক্তরা আদালতে মিলিত হয়ে মানববন্ধন করছি।’

এদিকে সালমান শাহ্ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাবেয়া সুলতানা রুবি গতকাল ৬ আগস্ট রোববার ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। যেখানে তিনি স্বীকার করেন, নব্বই দশকের সবচেয়ে সফল নায়ক সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি নিজে এতে যুক্ত না থাকলেও তার স্বামী চীনা নাগরিক জ্যানলিন চ্যান, ছোট ভাই রুমী, সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাসহ আরও কয়েকজন এই হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, রুবি এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায়।

প্রয়াত সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা স্বামীর মৃত্যুর বছর তিনেক পর আবার বিয়ে করেন। তার স্বামীর নাম মোস্তাক ওয়াইজ। শোনা যাচ্ছিল, তারা স্থায়ীভাবে থাইল্যান্ডে বসবাস করছেন। কিন্তু না, তারা ঢাকাতেই আছেন। শোনা যাচ্ছে, রাজধানীর গুলশান এলাকায় আজ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর সঙ্গে মোস্তাক কথা বলেছেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ওই সময় তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই সালমানের বাবা তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালত অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগটি একসঙ্গে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। একই বছর ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করে সিআইডি। একই বছর ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত সিআইডি পুলিশের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। সিআইডির দাখিল করা প্রতিবেদনে সালমানের বাবা সন্তুষ্ট না হয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করেন। ওই রিভিশন মামলার ওপর শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি ফের বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। এরপর প্রায় ১২ বছর এ মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট সিএমএম বিকাশ কুমার সাহার কাছে মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।