চলতি বছরের জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। তবে জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ওই তথ্যে মূল্যস্ফীতির এই চিত্র দেখা গেছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, জুলাইতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ শুন্য দশমিক শুন্য ৩ শতাংশ কমেছে।
কিন্তু খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দশমিক ২০ শতাংশ। বর্তমানে এ খাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
তবে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
তিনি বলেন, স্থানীয় বাজারে নিত্যপণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ ঠিক আছে। এছাড়া মুদ্রা বিনিময় হার কিছুটা বাড়লেও যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, সেগুলোর দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়েনি। ফলে মূল্যস্ফীতি কমেছে।
এ সময় জানানো হয়, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূণ্য ৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক শূণ্য ৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূণ্য ৩ শতাংশ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোরবানি ঈদে মসলা ও পেঁয়াজসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না।