ঈদ মোবারক। শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিম সমাজে আনন্দ আর উৎসবের হাওয়া। মুসলিমদের আনন্দ-উৎসবের জন্য ঈদুল ফিতরের কথা বিশেষভাবে এসেছে হাদিসে। ঈদের চাঁদ দেখার সংস্কৃতিও বহু পুরনো। আর শাওয়ালের চাঁদ মানে আরো বিশেষ কিছু। নিশ্চয় আজও অনেকেই শাওয়ালের চাঁদ দেখেছেন মহা আনন্দের সঙ্গে।
মুসলিমরা এক মাস যাবত সিয়াম পালন করেছে, অপবিত্র কাজ আর খারাপ ব্যবহার থেকে বিরত থেকেছে। এ সবই কি শুধু রমজান মাসের জন্য? না। ইসলাম সেই শিক্ষা দেয় না। মহান আল্লাহ কল্যাণময় রমজান মাস উপহার দিয়েছেন, তাগিদ দিয়েছেন এই ভালো কাজগুলো বছরজুড়ে এগিয়ে নেয়ার জন্য। নিজের ঘর থেকে শুরু করে প্রতিবেশী, নিজ এলাকা, জেলা এমন কি পুরো দেশের মানুষের ঈদ উদযাপনকেও গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। সব মানুষের মূল্যায়ন করতে হবে। দরিদ্র আত্মীয়, দূর গ্রামের বা শহরের অতি-দরিদ্র মানুষদের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সমাজের প্রতিটি মানুষকে সাহায্য করতে হবে সামর্থ্য অনুযায়ী। তবেই ফুটে ওঠবে ভ্রাতৃত্ববোধ, সহমর্মিতা, আন্তরিকতা- এ সবই তো পবিত্র ইসলামের শাশ্বত বাণী, আর মহানবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর শিক্ষা।
অফুরন্ত কল্যাণের এ মাস শেষে সবার জন্য যে ঈদ-উল-ফিতর এসেছে তার আনন্দ সবার ভেতর ভাগ করে নিতে হবে কোনো বৈষম্য ছাড়া। শুধু নিজের খুশির দিকে তাকালেই হবে না, মানুষের খুশির দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। মানুষ আরো বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠুক-পবিত্র ঈদে এই আমাদের আশা। সবার ঈদ সুন্দর, আনন্দময়, নিরাপদ এবং উৎসবময় হয়ে উঠুক। পবিত্র ঈদুল ফিতরে আমরা এই কামনা করি যাতে সারাদেশের মানুষ সাম্য মমতায় আনন্দে এই পবিত্র দিনটি কাটাতে পারে।