চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সামান্য মানবিকতাও পেতে পারে না জল্লাদ মীর কাসেম

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চান। একাত্তরে নির্মম নৃশংসতা চালিয়ে জল্লাদ পরিচিতি পাওয়া মীর কাসেমের সঙ্গে তার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া উচিত কি-না সে সম্পর্কে চ্যানেল আই অনলাইনের সম্পাদক ও চ্যানেল আইয়ের বার্তা সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘জল্লাদের ছেলের জন্য দিলে চোটওলারা শহীদ কিশোরটির মায়ের কথা ভাবুন কারো কারো সত্যিসত্যিই দিল ফেটে যাচ্ছে! বেচারা মরার আগেও ছেলেকে দেখতে পারবে না! হোক না অপরাধী! তবু শেষবারের মতো মীর কাসেম আলী তার ছেলেকে দেখতে পাবে না আশঙ্কায় তাদের হৃদয়-মন কেঁদে উঠছে। মহান এ মানবতাবাদীদের শহীদ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসীমের মায়ের কথা মনে করতে বলবো।

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে তথ্য পেতে জল্লাদ মীর কাসেম চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসীমের ওপর অবর্ণনীয় নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়েছিল। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য ছুটে এসেছিলেন জসীমের মা। বদর কমান্ডার একে মওকা হিসেবে নিয়ে মাকে চাপ দিয়েছিল যেনো তিনি ছেলেকে সব তথ্য ফাঁস করে দিতে বলেন। কিন্তু, মা তা করেননি। বরং শত অত্যাচারেও ছেলে যেন কিছু বলে না দেয় সে কথা বলেছিলেন। বীর কিশোর ছেলেটি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে একটি তথ্যও ফাঁস করেনি।

মায়ের সঙ্গে শেষ দেখায় ভাত খেতে চেয়েছিল অত্যাচারে প্রায় নিষ্প্রাণ হয়ে পড়া জসীম। ছেলের ইচ্ছা পূরণে মা ভাত নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু, ততোক্ষণে জল্লাদ কাসেম তাকে মেরে ফেলেছে।

চট্টগ্রামের সাংবাদিক বন্ধুরা জানাচ্ছেন, ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে যাওয়া মা আরো প্রায় ১৬ বছর বেঁচে ছিলেন। কিন্তু, একবারের জন্যও ভাত স্পর্শ করেননি, যেমন শহীদ আজাদের মা। জসীমকে হত্যার জন্য জল্লাদ কাসেমের ফাঁসি হলেও এ বদর কমান্ডারের অপরাধের মাত্রা এমন যেকোনো আনুষ্ঠানিকতা, সামান্য মানবিকতাও তার প্রাপ্য নয়।