চ্যানেল আই’র পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেছেন, দর্শকের সঙ্গে চ্যানেল আই’র সেতুবন্ধন ও পারস্পরিক যোগাযোগ এখন অনেক বেশি সম্প্রসারিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও ইউটিউবেও কোটি দর্শকের কাছে সবসময় পৌঁছে যাচ্ছে চ্যানেল আই।
উনিশ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি বলেন: চ্যানেল আই টেলিভিশন শিল্পে অত্যাধুনিক কারিগরী উৎকর্ষে সবসময় হালনাগাদ। দেশের প্রথম ডিজিটাল এই বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলটি সম্প্রচারিত হচ্ছে এইচডি মানে।
কৃষি উন্নয়ন এবং গণমাধ্যম এ ব্যক্তিত্ব বলেন: সময় বড় দ্রুতগামী। পাল্টে যাচ্ছে বিশ্ব পরিস্থিতি। আমরা বৈশ্বিক উন্নয়নের ঠিক যে জায়গাটিতে অবস্থান করছি তা উপলব্ধির ক্ষেত্রে গণমাধ্যম আজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবী গত এক’শ বছরে যতখানি এগিয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততর এগিয়ে যাওয়ার সময়টিই মনে হয় গত দুই দশক।
‘১৯৯৯ সালে যখন চ্যানেল আই যাত্রা শুরু করলো তখন ডিজিটাল স্যাটেলাইট টেলিভিশনই ছিল মানুষের সামনে এক অপার বিস্ময়। গণমাধ্যমকে সঙ্গী করে ব্যক্তি ও সমাজকে বিকশিত করার ভাবনাটি তখন সব সচেতন মানুষের মনেই ছিল। বাংলা গণমাধ্যম হিসেবে চ্যানেল আই গণমানুষের চেতনা, মূল্যবোধ থেকে শুরু করে জীবন-জীবিকার জায়গাটিতেও রাখতে চেয়েছে কল্যাণমুখি ভূমিকা। আর গণমাধ্যম যে মানুষের সবচেয়ে অপরিহার্য সঙ্গী ও বন্ধু হয়ে উঠবে সূচনালগ্নেই এই উপলব্ধি আমাদের ছিল। অব্যাহত প্রচেষ্টাও ছিল সেদিকেই।
শাইখ সিরাজ বলেন: যারা এদেশের মানুষের চেতনা বিকাশ ও উন্নয়নের পথ দেখান তারা সবসময় আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছেন। বিশ্বময় কোটি বাঙালির আস্থা, বিশ্বাসযোগ্যতা আর শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার এক অনুপম ক্ষেত্র আমাদের চ্যানেল আই। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের মানুষ একযোগে বলেছিলেন ‘আমার চ্যানেল আই’। আজ আরো বৃহৎ ও বিশাল গণ্ডিতে সব বয়সী, সব পেশার, সব শ্রেনীর মানুষের মাঝে ছড়িয়েছে এই বাক্য ‘আমার চ্যানেল আই’।
‘সবক্ষেত্রেই চ্যানেল আই এর বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়া বিশাল পরিবারটির অবদান সবচেয়ে বেশি। পথ চলার শুরুতেই এই পরিবারের প্রথম উচ্চারণ ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ আজও সমান উজ্জ্বলতায় শক্তি ছড়াচ্ছে,’ উল্লেখ করে শুভদিনে সবার জন্য শুভকামনা জানান শাইখ সিরাজ।