ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা যেনো নিখুঁত কারিগর। বাইশগজে অভিজ্ঞতা আর দক্ষতার মিশেলে প্রথমদিন থেকেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন। তবে তারাও তো রক্ত-মাংসেরই মানুষ! একটু আধটু ভুলও করছেন। বেশিরভাগ সুযোগই অবশ্য কাজে লাগাতে পারছেন না বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। শুক্রবার সকালেই যেমন সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত একটি প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। ব্যাটসম্যান ছিলেন রাহানে। পরে তাকেই ফিরতে হলো মেহেদী হাসান মিরাজের ‘বাজপাখি’ হয়ে ওঠা এক ক্যাচে!
প্রথমদিনের শেষ বিকেলে জুটি বেঁধে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন বিরাট কোহলি ও আজিঙ্কা রাহানে। শুক্রবার সেটাকে দুইশর ওপারে টেনে নিয়েছেন। তাদের বিচ্ছিন্ন করার একটি সুযোগ এসেছিল দিনের খেলার ১১তম ওভারে। সেটি কাজে লাগানো যায়নি।
মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান রাহানে তখন ৬২ রানে ছিলেন। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে কাট করতে যেয়ে বাতাসে বল ভাসিয়েছিলেন। পয়েন্ট বরাবর বাউন্ডারির কাছে ফিল্ডিংয়ে সাব্বির। ক্যাচটা তালুতে নিতে চেষ্টার কোনো ঘাটতিও ছিল না তার। অনেকটা দৌড়ে যেয়ে বাতাসে গা ভাসিয়ে বল পর্যন্ত পোঁছেছিলেন। বলে হাতও ছুঁইয়েছিলেন। কিন্তু ঠিকভাবে তালুতে জমাতে পারেননি। সাব্বিরের উড়ন্ত শরীর মাটি স্পর্শ করার সময় হাতছাড়া হয়ে যায় বল। বেঁচে যান রাহানে।
তখন মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছেন রাহানে। শেষপর্যন্ত ৮২ রানে থামতে হয়েছে তাইজুল ইসলামের বলে। যাতে সমান কীর্তিত্ব থাকল বাজপাখি হয়ে ওঠা মিরাজের। শর্টকাভারে শূন্যে শরীর ভাসিয়ে দুর্দান্ত ক্ষীপ্রতার এক ক্যাচে ভারত সহ-অধিনায়ককে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন মিরাজ।
এটা যেনো মিরাজের শাপমোচনও! বৃহস্পতিবার সহজ রান আউটের একটি সুযোগ নষ্ট করে সমালোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছিলেন। সেই ক্ষতে আপাতত একটু প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ মিলল তার।
সঙ্গী বিরাট কোহলি এখনো আছেন। ১৮০ রানে থেকে চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন বুনছেন। আর পুড়ছেন মুফিকরা। ভারতের সংগ্রহটা পৌঁছে গেছে ৪৬৬ রানে।