নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য করা আবেদনের উপর শুনানি শেষ হয়েছে আজ রোববার। আগামী ৯ ডিসেম্বর এই বিষয়ে আদেশ দিবে হাইকোর্ট।
৭ খুনের ঘটনায় অধিকতর তদন্ত চেয়ে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির করা আবেদনের উপর তৃতীয় দিনের শুনানি হয় হাইকোর্ট বেঞ্চে। এ সময় বিউটি ইসলামসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কেনো অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন তার পক্ষে যুক্তি দেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার বলেন, বাদী তার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে যে কয়েকজনের নাম দিয়েছিল তাদেরকে চার্জশীটে আনা হয় নাই, সেটা একটি বেআইনী হয়েছে। দ্বিতীয়ত দুইটা এফআইআর হলেও তা একই ঘটনা নিয়ে। আর একই আসামীদের যেখানে নাম দেওয়া হয়েছে; সেখানে আলাদা আলাদা চার্জশীট দেওয়াটাও বেআইনী হয়েছে।
শুনানির এক পর্যায়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ সাক্ষীদের বক্তব্যে বাদীপক্ষের দেওয়া কয়েকজন আসামীর নাম না থাকা এবং ষড়যন্ত্র সম্পর্কে কিছু না বলার বিষয় উল্লেখ করেন।
বাদীপক্ষ নূর হোসেনসহ অন্য আসামীদের নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার এক পর্যায়ে আদালত বলেন, সাক্ষীদের বক্তব্য পড়ে তাদের মনে হয়েছে কিছু সময়ের ব্যবধানে যে ব্যক্তি নিহত হতে পারতেন, বেঁচে আছেন বলেই তার বিচার হতে পারছে।
আব্দুল বাসেত মজুমদার আরো বলেন, অধিকতর তদন্ত যদি দেওয়া হয় তাহলে আমরা একটা সুযোগ পাব। যে নূর হোসেনকে তদন্তকারী অফিসার প্রশ্ন করতে পারে নাই, কারণ এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা ছিলেন নূর হোসেন। ন্যায় বিচারের খাতিরে সত্যিকারের আসামীদের বিচারের আনার জন্য এই সুযোগটা হাই কোর্টের দেওয়া উচিত।
বাদীপক্ষের আবেদনের বিষয়ে বিরোধিতা না করলেও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বলেছেন, বিচার চলার সময়ও কারও নাম আসলে তাকেও অন্তর্ভূক্ত করার সুযোগ আছে।