জাবি প্রতিনিধি: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের রায় বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদী মানবন্ধনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরাম’।
মানববন্ধনে রায়কে ‘সাজানো’ দাবি করে তা দ্রুত প্রত্যাখ্যানের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, প্রতিহিংসামূলক এ রায়ের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া নয়, গণতন্ত্র জেলে গেছে। রায়ে দেশের গণতন্ত্র সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মানববন্ধনে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করে করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। দেশি-বিদেশি সকল শক্তি একত্রিত হয়ে এ ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্রের দ্রুত অবসান ঘটবে, সেই দিন আর বেশি দূরে নয়। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির মাধ্যমে আমরা দেশের গণতন্ত্রের পুনঃ-প্রতিষ্ঠা করবো।’
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান বলেন, ‘আমাদের এখন যে ধ্বংসাত্মক যে আন্দোলন করা উচিৎ সে আন্দোলন করছি না কারণ আমরা দেশপ্রেমিক, আমরা দেশকে ভালোবাসি। আমরা সেই লাঠি পিটিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। আমরা ভোট বিহীন ক্ষমতায় আসতে চাই না। দেশনেত্রীকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বের করে আনতে চাই। কিন্তু এই সরকার বিচার বিভাগের উপর আঘাত হেনেছে, যেখানে প্রধান বিচারপতিই বিচার পায়না, সে দেশের কেমন বিচার বিভাগ চলছে! আমাদের দেশনেত্রী মুক্ত হবেনই। কারাগার থেকে মুক্তি লাভের আগ পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, ‘গত ৮ ফেব্রুয়ারিতেই বলেছিলাম বর্তমান সরকারের পতনকালের শুরু হয়েছে। স্বৈরাচারের পতন হয় অন্যায় অত্যাচার থেকে এবং সে অন্যায় অত্যাচারের বিনিময়ে সে কখনো ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। আইনের ভিত্তিতে কারাগারে যে সম্মানটুকও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পাওয়ার কথা সে সম্মানও তাকে দেয়া হচ্ছে না। নীরবে নিভৃতে একটি পরিত্যক্ত ভবনে তাকে অসম্মানজনক-ভাবে রাখা হয়েছে। এদেশের মানুষ বিভিন্ন সময় বিপ্লব সাধন করে তাদের অধিকার অর্জন করেছে। আমরা সংগঠিত হবো, স্ব স্ব অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ফিরিয়ে আনবো। খালেদা জিয়া যদি মুক্তি পায় তাহলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মুক্তি পাবে। দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।’
গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. শরিফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্তিত ছিলেন ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক ড. সোহেল রানা, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামছুল আলম, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক মো. নূরুল ইসলাম, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান, এ কে এম রাশিদুল আলম প্রমুখ।