শুক্রবার প্রেমাদাসায় লঙ্কা-বধের ম্যাচে শেষ ওভারে মোস্তাফিজের কাঁধের উপর দিয়ে পরপর দুই বাউন্সার দিয়েও পার পেয়ে যান উদানা। লেগ আম্পায়ার ‘নো বলে’র সংকেত দিতে উদ্যত হয়েও পরে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন। তখন উইকেটে থাকা মাহমুদউল্লাহকে ম্যাচ ছেড়ে দিয়ে বেরিয়ে আসতে ইশারা করেছিলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব। ওই মুহূর্তে সাকিবের ওরকম আক্রমণাত্মক হওয়া দরকার ছিল বলেই মনে করেন দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।
সোমবার দুপুরে কলম্বো থেকে ফিরে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বললেন, ‘বলবো না যে ওইভাবে প্রতিবাদ করাটা ঠিক ছিল। কারণ দিনশেষে এটা খেলা। সাকিব যেটা করেছে পুরো আবেগি হয়ে করেছে হয়ত। তবে আমরাও দেখছিলাম নো-বল ডাকা হয়েছে। তারপরও নো-বল কেন দেয়া হবে না। আম্পায়াররাও জানেন। আম্পায়াররা যে ভুল করেছে সেটা সবাই জানে। হয়তবা একটু বেশি প্রতিবাদ হয়ে গেছে। যেহেতু এটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ, টিভিতে দেখায়। তবে আমি মনে করি, একদিক থেকে সাকিবের আক্রমণাত্মক হওয়া দরকার ছিল।’
২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে আম্পায়ারদের পক্ষপাতিত্বের প্রতিবাদ হিসেবে আইসিসি সভাপতির পদই ছেড়েছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তাফা কামাল। মেলবোর্নের ওই ম্যাচেও ছিল ‘নো বল’ বিতর্ক। সেই ম্যাচের দৃষ্টান্ত টেনে সুজন বললেন, ‘অনেক টুর্নামেন্টেই এমন হয়েছে। বিশ্বকাপে মেলবোর্নেও আমাদের বেশকিছু সমস্যা হয়েছিল। আম্পায়ারের কিছু সিদ্ধান্তের জন্য আমাদের এমন হতে হয়েছে। তারপর পরিস্থিতিও ঠিক হয়েছে, খেলেও দারুণ জবাব দিয়েছি মাঠে। সেটাই বড় ব্যাপার ছিল আমাদের জন্য।’
রোববার প্রেমাদাসায় নিধাস ট্রফির ফাইনালে ভারতকে সমর্থন দিয়েছেন স্বাগতিক দেশের দর্শকরা। সুজন মনে করেন বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচ হেরে ফাইনালে উঠতে না পারায় শ্রীলঙ্কার শত্রু হয়ে উঠেছিল টাইগাররা।
‘ফাইনালের আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলায় আরও বেশি চাপ ছিল। সেটা খুবই স্বাভাবিক ছিল। কারণ স্বাগতিক দেশের সঙ্গে খেলা। দর্শক তো আমাদের বিপক্ষে থাকবেই, এটা খুবই স্বাভাবিক। ফাইনালে স্বাগতিক দেশ ছিল না, কিন্তু তাদের সমর্থন আমাদের বিপক্ষে ছিল। বাংলাদেশের হয়ে পুরোই হতাশ আমি। আমাদের বাংলাদেশি সমর্থকও ছিল বেশকিছু। কিন্তু সবার মাঝে তাদের আওয়াজটা খুবই কম হয়েছে। তবে এটা খেলারই অংশ। হয়ত আমরা শ্রীলঙ্কার শত্রু ছিলাম, আমাদের কারণে তারা ফাইনালে উঠতে পারেনি, তারা আক্রোশ থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে সমর্থন দিয়েছে।’