রায়ের আগের দিনেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের রায় নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ শুরু হয়েছে। মামলাটি আপিল বিভাগে আগামীকালের কার্যতালিকার ১ নম্বরে রাখা হয়েছে।
এদিন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে সালাউদ্দিনের করা আপিলের রায় হওয়ার কথা রয়েছে।
আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকার আশা প্রকাশ করে এটর্নি জেনারেল বলেছেন, আসামিপক্ষ অযৌক্তিক কথা বলে বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধকরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তবে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ওই সময় দেশে না থাকার যুক্তি দিয়ে আসামিপক্ষ বলেছেন, তিনি খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করি।
গণহত্যা, হত্যার ৪ অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একইসঙ্গে গণহত্যা ও হত্যার আরও ৩ অভিযোগে ২০ বছর করে এবং নির্যাতনের ২ অভিযোগে ৫ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মুজাহিদের পর দ্বিতীয় মামলা হিসেবে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলেও শুনানি শেষ হওয়ার দিন রায় জানিয়ে দেন আপিল বিভাগ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা যে সাক্ষ্য প্রমাণ দিয়েছি; তা বিচার-বিবেচনা করে আদালত আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিবেন।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ট্রাইবুন্যালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে যে দণ্ড দেওয়া হয়েছে; সেটি বহাল থাকবে বলে আমাদের সবার প্রত্যাশা।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়েও নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন দু’পক্ষ।
এই বিষয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, আদালতের উপরে একটা চাপ সৃষ্টি করার জন্য গণজাগরণ মঞ্চ রাস্তায় নেমেছে আসামির ফাঁসির দাবিতে। যে মামলাটি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারে অপেক্ষায় আছে সেখানে এই ধরনের স্লোগান দেওয়া, আন্দোলন করা আদলত অবমাননার সমতূল্য।
এ প্রসঙ্গে এটর্নি জেনারেল বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিটা আজকের দাবি না। অনেকদিন ধরেই এই দাবি চলে আসছে। কাজেইএই বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম অপকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে অন্য একটিমামলায় গ্রেফতার হলেও একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটকাদেশদিয়ে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল।